এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > উৎসবের মরশুমে ভারতের দুই বড় শহরে বড়সড় নাশকতার ছক পাকিস্তানী জঙ্গিদের? সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য

উৎসবের মরশুমে ভারতের দুই বড় শহরে বড়সড় নাশকতার ছক পাকিস্তানী জঙ্গিদের? সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের বুকে সবসময়ই সন্ত্রাসবাদীদের হামলার আতঙ্ক কাজ করে। উৎসবের মরসুমেও এরকমই বড়োসড়ো হামলার খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভারতের দুটি বড় শহরের ওপর সন্ত্রাসবাদীরা ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। সাথে সাথেই তদন্তে নামে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। তদন্ত করতেই আসল সত্য সামনে উঠে আসে। গত 20 অক্টোবর 12:35 নাগাদ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার anti-terror এজেন্সির কন্ট্রোল রুমে পরপর তিনটি ফোন আসে।

এবং সেখানে দাবি করা হয়, মুম্বাই বন্দর ও দিল্লিতে জঙ্গি হামলা চালানো হবে। তদন্তকারীরা জানতে পারে এই হুমকি ফোন এসেছে পাকিস্তানের নম্বর থেকে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রাথমিকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরে জানা যায়, নাম্বারটি পাকিস্তান থেকে এলেও সেটির বক্তব্য পুরোপুরি ভুয়ো। হুমকি ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়, জইশ-ঈ-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার এবং তাঁর ভাই 22 জন জঙ্গিকে নিয়ে একটি দল গঠন করেছে এবং তারা মুম্বাই বন্দরে এবং দিল্লিতে হামলা চালাতে আসছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 1999 সালে কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের জেরে সন্ত্রাসের অন্যতম পান্ডা মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দিতে হয়। তারপর থেকেই বিভিন্নভাবে ভারতে জঙ্গি হামলার চেষ্টা চালিয়ে গেছে এবং এখনও যাচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর এবং চীনের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতের চাপে মাসুদ আজহারকে 2019 সালের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, 2020 সালের আগস্ট মাসে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পেছনে এই মাসুদ আজহারের লস্কর-ই-তৈবাই দায়ী।

ভারতের তরফ থেকে যে চার্জশীট তৈরি করা হয়েছে, সেখানে লস্কর প্রধান মাসুদ এবং তাঁর ভাইদের নাম রয়েছে। ফোন কলটি ভুয়ো হলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য জিনিস। ফোন এসেছে কিন্তু সন্ত্রাসের অন্যতম দেশ পাকিস্তান থেকে। তাই ফোন কলটি ভুল হলেও নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র অবহেলা করতে রাজি নয় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে মুম্বাই বন্দর এবং দিল্লির বিভিন্ন জায়গা। বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়া হলেও, পুরোপুরি অবহেলা করা হচ্ছেনা। কারণ একমাত্র পাকিস্তানের নামে এক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে, যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!