প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই আসছে সবথেকে বড় উৎসব দেওয়ালি। আর তার আগেই মোদি সরকারের তরফ থেকে আসতে চলেছে দুর্দান্ত একটি খবর। যা দেশের সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের কর্মীদের যথেষ্ট উপকৃত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। উৎসবের মরসুমের এই সবে শুরু। তার আগেই নরেন্দ্র মোদি সরকার জানিয়ে দিলেন, পিএফ এর সুদ বাড়তে পারে। পাশাপাশি এমপ্লয়িজ পেনশন ফান্ড এর অধীনে পেনশনের পরিমাণও বেড়ে হতে চলেছে এবার থেকে মাসে 5000 টাকা।

এই দুটি বিষয় নিয়ে এই সপ্তাহের মধ্যেই লেবার প্যানেলের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আলোচনায় ইপিএফও ম্যানেজমেন্ট, পারফরম্যান্স এবং বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, এই সংগঠনের আওতায় অন্তত 10 ট্রিলিয়ন টাকা রয়েছে। তাই এই টাকা দিয়ে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে ইপিএফওকে কিভাবে আরো বেশি লাভজনক করে তোলা যায়, তাই আলোচনার মূল বিষয় হতে চলেছে বলে খবর।

অন্যদিকে করোনা কতটা প্রভাব ফেলেছে ইপিএফও ফান্ডের ওপর, তা নিয়েও প্যানেলের সদস্যরা আলোচনা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কেননা লকডাউন এর সময় বেশিরভাগ কর্মী ইপিএফ থেকে সংসার চালানোর জন্য টাকা তুলেছেন। অন্যদিকে এমপ্লয়ীয পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন এর পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এবার থেকে কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের হাতে যাতে সহজেই পিএফ এর টাকা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই নিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে বলে খবর।

বর্তমানে ইপিএফও তরফ থেকে সুদের পরিমাণ রয়েছে 8.50%। এর আগে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের তরফ থেকে পেনশন বৃদ্ধির দাবি করা হলেও কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এবার শ্রমিকদের দাবি মান্যতা পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার প্রবীণদের নিরাপত্তার পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মীদেরও সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে চলেছে।

আর তাই এবার পেনশন এবং পিএফওর সুদ সমানতালে বেড়ে উঠতে চলেছে। যদিও দেশের অর্থনীতির অবস্থা যথেষ্ট বেহাল, তা সত্ত্বেও যেভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের এবং অবসর গ্রহণকারী কর্মীদের কথা ভেবে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। নিউ নর্মাল চললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সে জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত উৎসবের মরসুমে খুশির হাওয়া বয়ে নিয়ে আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।