এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > উৎসবের মরশুমে দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে করোনার করাল গ্রাসে যেতে পারে বাংলা! ভয়ে উড়ছে ঘুম?

উৎসবের মরশুমে দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে করোনার করাল গ্রাসে যেতে পারে বাংলা! ভয়ে উড়ছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুজো এসে গেছে, বাকি আর হাতে গোনা কয়েকদিনের। তবে এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার হানা। যদিও ইতিমধ্যেই করোনার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে পুজা প্রস্তুতি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রেই শোনা গিয়েছিল কোভিড থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন না বেরোনো পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলাই নাকি একমাত্র ভরসা। তবে বর্তমানে যে পরিমাণ মানুষ যেভাবে রাস্তায় বের হচ্ছেন, তাতে কতটা মানা যাচ্ছে এই সামাজিক দূরত্ববিধি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনলক ৫ শুরু হয়ে গেছে এই মাস থেকেই। সেইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন সিনেমা হল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র খুলে দেবার জন্য। অন্যদিকে চলতে শুরু করেছে মেট্রো। রাস্তায় বিভিন্ন বাসের আনাগোনাও বেড়েছে। তবে এরই মধ্যে দোকানপাট খুলে যাওয়ায় পুজোর মার্কেটিং হচ্ছে রমরমিয়ে। অন্যদিকে শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল তৈরীর কাজও। এমতাবস্থায় তাই পুজোর আমেজে গা ভাসিয়ে সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করা হচ্ছে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেভাবে ওন্নামের পরে কেরালায় করোনা সংক্রমনের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেছে, সেই পরিস্থিতি যাতে পশ্চিমবঙ্গে না তৈরি হয়। তাইজন্য আগে থেকেই জেলা গুলিকে সতর্ক করতে দেখা গেছে স্বাস্থ্যদপ্তরকে।

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, নৈহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোভিড চিকিৎসা চলছে, এমন হাসপাতালে এইচডিইউ, সিসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এদের মধ্যে পুরুলিয়া রোটারি হাসপাতালে বেড বাড়ানো হলেও, সেই সঙ্গে দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কোভিড ওয়ার্ড করতে জন্য জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে, উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত, হাবড়া ও বসিরহাট হাসপাতালে সিসিইউ এবং এইচডিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া নৈহাটি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, কাকদ্বীপ-সহ বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালগুলিতে কোভিড ওয়ার্ড খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায়। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার হাসপাতালের চিকিৎসকদের কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ এবং বেলেঘাটা আইডিতে কোভিড প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে বলেও জানা যায়। সেইসঙ্গে শীঘ্রই এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে বেড বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সব জেলায় একজন করে মেডিক্যাল সুপারভাইজার, এবং একজন প্রোটোকল ক্লিনিক্যাল অফিসার নিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বস্তুত, অতিমারীর প্রকোপের কথা মাথায় রেখেই সব জেলাকে সতর্ক করার সঙ্গে সঙ্গে এই জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যেখানে জানা গেছে, শুধুমাত্র পুজোর প্রস্তুতির জন্যই নাকি সরকারের কোষাগার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিন স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে আরও ৪৩৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা কেনার বরাত দেওয়া হবে। যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে অসুবিধের মধ্যে না পড়তে হয়।

সেই সঙ্গে বর্তমানে এখন বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ৪১০টি যন্ত্র কাজ করছে বলে জানা গেছে। ফলে নতুন যন্ত্র আসলে যে আরও সুবিধা হবে, সেকথা বলাই বাহুল্য। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি কোভিড হাসপাতালে ২৩৫টি আইসিইউ, এইচডিইউ বেড বাড়বে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পুজোয় করোনা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে গতকাল বৈঠক করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সেই বৈঠকের সূত্রে জানা গেছে, পুজোর সময় করোনার প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই উৎসবে সামাজিক দূরত্ব কতটা মানা হবে, তাতেও সন্দেহ আছে। সেই জন্যই জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ যেমন বাড়ানো হবে, তেমনই সিসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউও বাড়ানো হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!