রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করার আগেই সব হাওয়া কেড়ে নিতে মাস্টারপ্ল্যান মমতার? জেনে নিন উত্তরবঙ্গ কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দিল্লি সফর শেষ করেই দার্জিলিং সফর করার কথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। আর রাজ্যপালের এই সফরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল। জানা গেছে, দার্জিলিং সফরে গিয়ে রাজ্যপাল সেখানকার মানুষের সমস্ত কথা শুনবেন। তবে রাজ্যপালের এই সফরকে ভেস্তে দিতে এবার পাল্টা উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, সম্প্রতি তৃণমূলের হাত ধরা বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা এখন নতুন করে পাহাড়ে সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। একাংশ বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এই কৌশল নিঃসন্দেহে রাজ্যপাল এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে চাপে রাখার অন্যতম অঙ্গ। কেননা তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, রাজ্যপালের পাহাড় সফর যাতে কোনো মতেই সাফল্য না পায়। আর তাই বিমল গুরুং সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে তার অনুগামীরা এবার তাকে স্বাগত জানিয়ে পাহাড়ে পোস্টার দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে রাজ্যপাল আসলেও তার এই সফর কতটা জাঁকজমকপূর্ণ হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা এতদিন পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের আধিপত্য থাকায় এবং তিনি বিজেপির দিকে থাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার সেই বিমল গুরুং বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়েছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যখন সব সময় অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্যপাল বিজেপি ঘনিষ্ঠ, তখন সেই রাজ্যপাল পাহাড়ে গেলে তার সফরকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য বিমল গুরুংয়ের অনুগামীদের এই সক্রিয়তা বলে মনে করছেন একাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমল গুরুং তৃণমূলের দিকে চলে আসায় আগামী দিনে শাসকদলের শক্তি এখানে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। কেননা পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষ এখনো বিমল গুরুং কেই তাদের নেতা বলে মানেন। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের একটি হোটেলে বিমল গুরুংয়ের অনেক অনুগামীরা একটি সভা করেছেন। যেখানে বিমল গুরুংকে তাদের নেতা বলে দাবি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পাহাড় সফরে আসলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু সেই পাহাড় সফরকে ভেস্তে দিতে যেভাবে বিমল গুরুংকে স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তার অনুগামীরা, তাতে রাজ্যপাল কিছুটা হলেও ইতস্তত বোধ করবেন বলে মনে করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। অনেকে আবার বলছেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল। রাজ্যপালের এই পাহাড় সফর যাতে সফলতা না পায়, তার জন্য বিমল গুরুংয়ের অনুগামীদের দিয়ে সেই বিমল গুরুংকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে পাহাড় সফরে গেলে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলে দাবি সমালোচক মহলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -