উত্তরবঙ্গের পাঁচ আসনেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন করতে এখন থেকেই কাজ শুরু কমিশনের উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 27, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যখন শাসক বনাম বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র দড়ি টানাটানি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই পুলিশের ওপর নজরদারি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে খতিয়ে দেখতে পুলিশের তিন অবজারভারকে রাজ্যে পাঠানো হল। সূত্রের খবর, বিনোদ কুমার নামে এক পুলিশ অফিসারের দায়িত্বে থাকবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অশোক কুমার দাস এবং দার্জিলিঙে রাজেশ সিং গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে না হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যে সাতজন এক্সপেন্ডিচার অবজারভার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা কালো টাকা উদ্ধার এবং সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ যাতে তৈরি করা যায় তার জন্য নানা নজরদারি রাখছেন। অন্যদিকে 6 জন সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসেবে কোচবিহারে চান্দের প্রকাশ ভার্মা, আলিপুরদুয়ারে মুকেশ কুমার, জলপাইগুড়িতে ব্রজেশ কুমার সন্ত, রায়গঞ্জে অমরেন্দ্র প্রসাদ সিং, দার্জিলিঙে কুঞ্জবিহারী পান্ডা এবং সমতলের জন্য জয়রাম এনকে রাজ্যে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে যেহেতু প্রথম দফায় ভোট হবে, তাই সেখানে এদিন মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সাধারণ পর্যবেক্ষক না পৌঁছানোয় স্কুটিনি করা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে মঙ্গলবার দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ভোট হওয়া আসনগুলির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হিসেবে ধার্য হয়েছে। আর প্রক্রিয়া নিয়ে যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কড়া থেকে অতি কড়া করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে সেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ জানিয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এদিন নির্বাচন কমিশনের কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “মানুষ বলছে এটা একটা মূক ও বধির দপ্তর। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, বিধাননগর পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হুগলি জেলা শাসকও যাতে এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকেন তার জন্যও আমরা আবেদন জানিয়েছে।” তবে বিজেপির তরফ রাজ্যের একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও এই সমস্ত বিষয় দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। আপনার মতামত জানান -