এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের জনসভায় জনপ্লাবন, ‘বহিরাগত’ ও ‘বাম-আঁতাতে’ চাপা দিতে চাইছে শাসকদল

প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের জনসভায় জনপ্লাবন, ‘বহিরাগত’ ও ‘বাম-আঁতাতে’ চাপা দিতে চাইছে শাসকদল


মাত্র কয়েকমাস আগেই হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল। এছাড়াও, স্থানীয়স্তরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় এখনও বুথস্তরে সর্বত্র কমিটিই তৈরি করতে পারেনি বিজেপি। তা সত্বেও, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় বিপুল জনসমাগম চোখ কপালে তুলে দিয়েছে অনেকেরই।

রাজনৈতিক হিসেব নয়, স্থানীয় সাধারণ অধিবাসীদের হিসেব বলছে সেদিনের সভায় সভাস্থলে জনসমাগমের পরিমান অন্তত তিন লক্ষ ছড়িয়েছিল। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাদের গাড়ি আটকেছিল – নাহলে সেদিনের জমায়েত নাকি সব রেকর্ড ভেঙে দিত।

যদিও, এই জনসমাগমকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর মতে, অসম ও উত্তরপ্রদেশ থেকে স্পেশ্যাল ট্রেনে করে লোক আনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্তরে বাম আর বিজেপির শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে একটা গোপন বোঝাপড়া হয়েছে – সেকারণে বামেরাও তাদের সভা ভরাতে সহায়তা করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রবীন্দ্রনাথবাবুর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা তো বটেই, এমনকি বাম নেতৃত্বও। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অনন্ত রায় এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য কিছু মানুষ গিয়েছিলেন, তৃণমূলে যাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁরাও ওই সভায় গিয়েছিলেন – এরসঙ্গে বাম বিজেপির আঁতাতের কোনও প্রশ্নই নেই।

যদিও স্পষ্ট ভাষায় বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী যে কথাই বলুন কোথাও কোনও ট্রেন ভাড়া করা তো দূরের কথা – আমরা সেদিন গাড়ি ভাড়ার টাকা বা খাবারও দিতে পারিনি। কিন্তু, কাতারে কাতারে মানুষ সেদিন নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন।

এমনকি, নিউ কোচবিহার থেকে স্পেশ্যাল ট্রেনের আবেদন করলে তাও বানচাল হয়ে যায়। এরপরে তো শাসকদলের বাধা ছিলই, যেখানে পেরেছে মেরে-ধরে বা গাড়ি ভেঙে সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। তা সত্ত্বেও যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন তাঁরাই মোদির জনসভায় গিয়েছিলেন।

তবে, স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যতই মুখে দাবি করুন যে বিজেপি বহিরাগত দিয়ে সভা ভড়িয়েছে – আসলে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এই বিপুল জনসমাবেশ শাসকদলের কাছে রীতিমত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই শাসকদল গোটা বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা গেছে। কেননা সেদিনের জনসভায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি মাদারিহাট, কালচিনি, নাগরাকাটা, কুমারগ্রামের চা বলয় থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। যা দেখে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করতে শুরু করে দিয়েছে, নুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে এবার উত্তরবঙ্গের সমস্ত লোকসভা আসন নাকি গেরুয়া শিবির দখল করবে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বিপুল জনসমাগম আদতে ভোটবাক্সে রূপান্তরিত হয় কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!