এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হঠাৎ করে উত্তরবঙ্গ নিয়ে দিল্লি শিবিরে তুমুল হৈচৈ, ডাক পড়লো সাত সাংসদের, জেনে নিন !

হঠাৎ করে উত্তরবঙ্গ নিয়ে দিল্লি শিবিরে তুমুল হৈচৈ, ডাক পড়লো সাত সাংসদের, জেনে নিন !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ফুটে গিয়েছে পদ্মফুল। অবিশ্বাস্য ভাবে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে বিজেপি এরকম অভূতপূর্ব ফলাফল করবে, তা ভাবতে পারেনি রাজনৈতিক মহলও। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মালদহ দক্ষিণ বাদে আর সব আসনে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন।

উত্তরবঙ্গে মোট 54 টি বিধানসভা আসন রয়েছে। সেদিক থেকে বিজেপি যদি লোকসভার মত বিধানসভাতেও উত্তরবঙ্গে ভালো ফলাফল করতে পারে, তাহলে তাদের আর ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে অতটা চিন্তা করতে হবে না। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে 7 টি আসন দখলের পর দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা। অনেকে সাংসদ হয়েও সেভাবে ময়দানে নামেননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জ্বলজ্যান্ত ইস্যু থাকা সত্ত্বেও, উত্তরবঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে তেমনভাবে সক্রিয় না হওয়ার ঘটনা চোখে পড়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার উত্তরবঙ্গের আট বিজেপি সাংসদ এবং আট জেলার জেলা সভাপতিকে ডেকে পাঠাল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার 23 জুলাই উত্তরবঙ্গের সাত সাংসদ এবং 8 টি জেলার জেলা সভাপতিকে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করতে হবে‌। যেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেনন।

ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের দলীয় নেতা এবং সাংসদদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্রেনে হোক বা বিমানে, যে করেই হোক তাদেরকে 23 জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই উত্তরবঙ্গের নেতা এবং সাংসদদের বিজেপির পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হল কেন? একাংশ বলছেন, দক্ষিণবঙ্গের তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেদিক থেকে যদি উত্তরবঙ্গে তারা এখন থেকে জোর দিতে পারে, তাহলে ব্যাপক বিধানসভা আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গের একের পর এক রাজবংশী মানুষের মৃত্যু থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস এই সমস্ত বিষয়ে যাতে বিজেপি নেতা এবং জনপ্রতিনিধির আরও বেশি করে তুলে ধরেন, তার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাদের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

পাশাপাশি যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মুখোমুখি উত্তরবঙ্গের দলীয় নেতা এবং সাংসদদের বসানো হচ্ছে, সেহেতু একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি কি, সেই ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেবে। আর তারপরেই তারা কিভাবে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে, তার ব্যাপারে উত্তরবঙ্গের নেতাদের বার্তা দেবেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরবঙ্গকে নিয়ে বিজেপির পৃথকভাবে বৈঠক সত্যিই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তারা এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গকে বাড়তি ভাবে নজর দিতে চলেছে তারা। তাই সেখানকার সাত সাংসদ এবং আট জেলা সভাপতিকে নিয়ে এবার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধি এবং নেতাদের কি বার্তা দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!