সমানে চলছে দলবদল! উত্তরবঙ্গে কার পাল্লা ভারী? জেনে নিন উত্তরবঙ্গ রাজনীতি রাজ্য September 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন প্রতিটা রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে, নিজেদের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করার। আর এই সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করতে গিয়ে তাদের প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিরোধীদল ভাঙ্গানো। তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরকে এই বিষয়ে সমানে সমানে টেক্কা দিতে শুরু করেছে। বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলায় বিস্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। ছাত্র যুব সংগঠনের সভাপতি পদে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি দলের নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বিরোধী ভোটব্যাংকেও থাবা বসাতে শুরু করেছে তারা। গত শুক্র এবং শনিবার কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি থেকে ব্যাপক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন তৃণমূল শিলিগুড়িতে অনেকটাই শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যে শিলিগুড়ি একসময় সিপিএমের অন্যতম খাসতালুক ছিল, সেখানে ধীরে ধীরে তৃণমূল যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, তাহলে কি সিপিএম এখানে অনেকটাই চাপে পড়তে শুরু করেছে? আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাহলে কি শিলিগুড়িতে প্রধান লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে! কেননা যেভাবে প্রতিনিয়ত বিজেপি এবং তৃণমূলে যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাতে অনেকটাই ব্যাকফুটে সিপিএম এবং কংগ্রেস বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও বা এই ব্যাপারে নানা রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে নানা প্রতিক্রিয়া উঠে আসতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “মহামারীর সংকটকালে বিরোধীরা কার্যত গর্তে ঢুকে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কর্মীরা মানুষের পাশে রয়েছে। এজন্যই নানা দল থেকে নেতাকর্মীরা তৃণমূলে আসছেন। আরও অনেকে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মন বলেন, “তৃণমূলের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। তাই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে তিনটি দল থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই দলবদলের স্রোত জোরদার হবে।” তবে গোটা বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “তৃনমুল দলীয় কোন্দলের জেরে ভারতের হয়ে পিকের টিম বাজার করতে বেরিয়েছে। আমাদের দলের কাছে এসে ওদের বাজার হবে না। আমাদের কোনো নেতা কর্মী দলত্যাগ করে অন্য দলে যাননি। এই মহামারীর সময় সকলে মানুষের পাশে রয়েছেন। এতে দলের লাভ হবে।” তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যেভাবে তাদের দল এবং কংগ্রেস দল ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে এই দুই রাজনৈতিক দল অনেকটাই চাপে রয়েছে। শিলিগুড়িতে এখন মূল খেলা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই হচ্ছে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্সে এই দলবদলের কোনো প্রভাব পড়ে কিনা এবং তার ফলে কোন দল সবথেকে বেশি লাভবান হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -