উত্তরবঙ্গে ক্রমশ আলগা হচ্ছে বিজেপির ভোটব্যাংক? ঘটনাপ্রবাহ তৈরি করে গুঞ্জন! উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য February 12, 2020 গত লোকসভায় উত্তরবঙ্গে আটটি আসনের মধ্যে বিজেপি 7 টি আসন পাওয়া দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। কেউই আঁচ করতে পারেনি যে, উত্তরবঙ্গের মত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে এভাবে দাগ কেটে, তৃণমূলকে একটি আসনও না দিয়ে, বেশিরভাগ আসন নিজেদের ঝুলিতে পুরে নেবে ভারতীয় জনতা পার্টি। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই লোকসভায় সাফল্য পাওয়া বিজেপি জোরকদমে চেষ্টা করছে, উত্তরবঙ্গের সমস্ত পৌরসভাগুলো নিজেদের দখলে আনার জন্য। কিন্তু যেভাবে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভিত আলগা হতে শুরু করেছে, তাতে বিজেপির সাফল্য পাওয়া নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার পৌরসভার কমবেশি প্রতিটি ওয়ার্ডেই কোথাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, আবার কোথাও বা বামফ্রন্টে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মুখে স্বীকার না করলেও, তলায় তলায় যে তারাও চিন্তিত, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা রানা পাল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। একইভাবে গত লোকসভা ভোটের সময় সিপিএমের 40 থেকে 45 জন বিজেপিতে চলে গেলেও, তারা ফের এখন সিপিএমে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে এখন বিজেপি কিছুটা হলেও, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি একাংশের। তৃণমূলের দাবি, প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই বিজেপির প্রচুর নেতাকর্মী প্রতিদিন তাদের দলে যোগদান করছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে রোজই দলে দলে বিজেপির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন। বিজেপি তো মানুষে মানুষে বিভেদ ছাড়া উন্নয়নের কথা বলে না।” একইভাবে তাদের দলেও এখন প্রচুর কর্মী সমর্থক যোগ দিতে শুরু করেছেন বলে দাবি বামেদের। এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার সিপিএমের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, “আমাদের বহু কর্মী, যারা লোকসভা ভোটের সময় বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে। এখন তারা আবার আমাদের দলে ফিরছেন।” তবে পৌরসভা ভোটের আগে তৃণমূল এবং বামে প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মী নাম লেখানোয়, বিজেপির পদক্ষেপ কি হবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে সংশয়। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির টাউন মন্ডলের সভাপতি অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কোথাও আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা দল ছাড়ছে না। এসব ভিত্তিহীন খবর।” তবে বিজেপি নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, একদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে তারা যেমন ব্যাকফুটে, ঠিক তেমনই পৌরসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তাদের দল থেকে অন্য দলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে, তাতে লোকসভার মত জনসমর্থন তারা পৌরসভায় ধরে রাখতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -