এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অভিষেক-পিকে ম্যাজিক শুরু? উত্তরবঙ্গে পা রাখতেই ভেঙে তছনছ বিজেপি? ক্রমশ হাসি চওড়া তৃণমূলের?

অভিষেক-পিকে ম্যাজিক শুরু? উত্তরবঙ্গে পা রাখতেই ভেঙে তছনছ বিজেপি? ক্রমশ হাসি চওড়া তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শাসকদল তৃণমূল নিজের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল শাসকদল তৃণমূলকে। প্রায় সমস্ত লোকসভা আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। এরপর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করে নিয়ে থাকে বিজেপি। জেলায় জেলায় তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদান পর্ব শুরু হয়। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত হয়ে পড়ে তৃণমূল।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তৃণমূল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কুশলী পিকে। পিকেকে সঙ্গে নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকের এই উত্তর বাংলা সফরের সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরবঙ্গে নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠে তৃণমূল ও সেইসঙ্গে ঘর ভাঙতে শুরু শুরু করলো বিজেপির। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে একতরফাভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসছিল শাসকদল তৃণমূলের অন্দর থেকে।

জলপাইগুড়ি জেলা থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর কথা শোনা গিয়েছিল। তেমনি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর খবর এসেছিল আলিপুরদুয়ার জেলা থাকে। তবে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল ব্যাপক। সাংগঠনিক রদবদলের পর জেলার নতুন কমিটি গঠনের পরই জেলার জনৈক বিধায়ক মিহির গোস্বামী সমস্ত রকম সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকে নিষ্কৃতি নেবার কথা ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের বিধায়ক পদও ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শিলিগুড়ি সফরের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে প্রবলভাবে উজ্জীবিত হয় বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগমন বাতিল হয়। সেই আবহেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকে উত্তরবঙ্গে আসেন। আর তাঁদের আগমনের পর থেকেই কোচবিহারে বিরাট ভাঙ্গন বিজেপির। সম্প্রতি কোচবিহারের ৫ জন বিজেপি নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে। যাঁদের মধ্যে আছেন কোচবিহারে বিজেপির যুব মোর্চার বিদায়ী সহ সভাপতি ভার্গবচন্দ্র দাস ও ৪ জন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। ৫ জন নেতার এভাবে তৃণমূলে যোগদান করায় হাসির চওড়া হল তৃণমূল শিবিরের।

কারণ, কোচবিহার জেলায় ইতিপূর্বে বেশকিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করে শাসকদলের বিপদ অনেকদূর বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিকের বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই কোচবিহার জেলায় তৃনমূল শিবিরে বারবার ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছিল। মূলত মুকুল রায়ের কেন্দ্রীয় পদ লাভের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দেখা দেয় এই ভাঙ্গন। যা কোচবিহারে ছিল বেশ তীব্র। সেই আবহে পাঁচজন বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে সম্প্রতি গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা ভবেশ চন্দ্র বর্মন সহ দল এই দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন।তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কুশলী পিকের উত্তরবঙ্গতে পদার্পণের পরেই কোচবিহারে এই ৫ জন বিজেপি নেতারা তৃণমূলে যোগদানে যথেষ্ট রকম জল্পনা শুরু হলো রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট ভাবে অস্বস্তিতে পড়তে হলো বিজেপিকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে রাজ্যে ভোট কুশলী পিকেকে আনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। একাধিকবার তিনি তাঁর ম্যাজিক দেখিয়েছেন, যা আবার একবার দেখালেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!