উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি-তৃণমূল কেউই জায়গা ছাড়তে রাজি নয়, বাড়ছে উত্তেজনা সংঘর্ষ উত্তরবঙ্গ রাজ্য June 28, 2018 বিবাদ থেকে হাতাহাতি। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক সংঘর্ষ রাজ্যজুড়ে অব্যাহত। কিন্তু এবারে কোন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ নয়, উত্তরদিনাজপুরের চোপরার মুকদুমি গ্রামের একটি রাস্তার কাজ নিয়েই চরম সংঘর্ষে নামল তৃণমূল ও বিজেপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন পঞ্চায়েতের একটি রাস্তার কাজ চলছিল। হঠাৎই তা এসে আটকে দেয় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এরপরই তৃনমূল নেতা মহম্মদ মোস্তাকের সঙ্গে তাদের প্রবল বচসা হয়। যা পরে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। জানা গেছে, এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই কমবেশি 15 জন আহত হয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের 9 জন কর্মী সেখানে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বাকি দুজনের দোলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। আহতরা সকলেই তৃনমূলের নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বলে খবর। এদিন তৃণমূলের মহম্মদ মোস্তাক বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়ন দেখে বিজেপির সহ্য হচ্ছে না।তাই তারা ভয় পেয়ে রাস্তার কাজ আটকে দিয়ে আমাদের উপর বন্দুক বোমা নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে।” অপরদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা পথে নেমেছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা শাহিন আখতার বলেন, “রাস্তার পাশে ড্রেন আছে। কিন্তু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নিজের বাড়ির সামনেই ড্রেনের কাজ করতে দেননি।ফলে এতে লোকের বাড়ি বাড়ির জল বের হতে পারছে না। আর বিজেপি এতে প্রতিবাদ করাতেই তৃণমূলের হামলায় আমাদের 6 জন কর্মী জখম হয়েছেন।” অন্যদিকে বিজেপি-তৃণমূলের এই গন্ডগোল প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “দু’পক্ষের মধ্যে রাস্তা নিয়ে একটি সংঘর্ষ বাধে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহলদাড়ি চলায় এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন জেলায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির এই রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন। যাতে কোথাও প্রান যাচ্ছে তো আবার কোথাও বা আক্রান্ত হচ্ছেন নীচুতলার কর্মী সমর্থকেরাই। আপনার মতামত জানান -