এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গ তৃণমূলেরই প্রমাণে পাল্টা মহামিছিলের পথে শাসকদল! বিজেপির দ্বিগুণ জমায়েতের ডাক

উত্তরবঙ্গ তৃণমূলেরই প্রমাণে পাল্টা মহামিছিলের পথে শাসকদল! বিজেপির দ্বিগুণ জমায়েতের ডাক


 

কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে মিছিল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মিছিলের জনসমাগম দেখে ইতিমধ্যেই তটস্থ শাসক দল তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা নেত্রী। আর কলকাতার পর আজ মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে অভিনন্দন যাত্রা করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই অভিনন্দন যাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

তবে অনুমতি না মিললেও তারা যে তাদের মহামিছিল করবে, সেই ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছে। ফলে সেদিক থেকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির আজকের এই কর্মসূচি কতটা সফল হয়! তার দিকে নজর রয়েছে সকলেরই। কিন্তু রাজনীতিতে একদল অপরদলকে সব সময় টেক্কা দিয়ে চলতে পছন্দ করে।

তাই ভারতবর্ষের শাসক দল তথা বাংলার বিরোধী দল বিজেপি যখন নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে জমকালো মিছিল করতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই তাদের মাত করতে পাল্টা এই আইনের বিরোধিতা করে পথে নামার ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে বিজেপির মিছিলের আগেই, সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে আসেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

আর শিলিগুড়িতে নেমেই দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে দলের নেতা, মন্ত্রীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করতে দেখা যায় তাকে। যে বৈঠকের পরেই আগামী বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি শহরে তারা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মহামিছিল করবে বলে জানিয়ে দেন মন্ত্রী। আর বিজেপি যখন মিছিল করতে উদ্যোগী, ঠিক তার পাল্টা আগামী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মিছিলের ঘোষণা করায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

তাহলে কি বিজেপিকে কুপোকাত করতেই তৃণমূল পাল্টা মিছিলের ঘোষণা করল! যদিও বা এই প্রসঙ্গে তারা কোনো পাল্টা কর্মসূচি করছে না। এটা তাদের নিজের কর্মসূচি বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।জানা যায়, এদিন শিলিগুড়িতে তৃণমূলের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশের প্রথম সর্বপ্রথম আওয়াজ তুলেছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আন্দোলনের জেরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষ একজোট হয়েছেন। কাজেই আমরা কাউকে অনুসরণ করছি না। কারও পাল্টা কোনো কর্মসূচি করছি না। আমাদের অন্যেরা ফলো করছেন। তবে ওরা যে জমায়েত করবে, তার দ্বিগুণ লোক আগামী বৃহস্পতিবার আমাদের মিছিলে হবে। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে মিছিল হবে। সেখানে দার্জিলিং জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য নেতারা হাজির থাকবেন।”

পাশাপাশি আগামী 28 ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিধানসভায় সকাল 11 টা থেকে 5 টা পর্যন্ত অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতায় বিজেপির মিছিলে ব্যাপক ভিড় দেখে কিছুটা হলেও হতচকিত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

তাই সেদিক থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় উত্তরবঙ্গে বিজেপির মিছিলে যে জনসমাগম আরও বৃদ্ধি পাবে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূল। আর তাই বিজেপির হাওয়াকে ফিকে করতে এবার উত্তরবঙ্গে বিজেপির মিছিলের পাল্টা মিছিল করতে উদ্যোগী ঘাসফুল শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি না তৃনমূল, ভিড়ের নিরিখে কে কাকে টেক্কা দেয়! সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!