এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মমতার একান্ত অনুগত সৈনিকের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরেই বড় সিদ্ধান্ত

উত্তরের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মমতার একান্ত অনুগত সৈনিকের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরেই বড় সিদ্ধান্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নানা রকম কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই তৃণমূলের কাছে এখন প্রধান টার্গেট, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ফের তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা। যত দিন যাচ্ছে, ততই বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এখন সেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ এবং দুর্নীতি শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের সকলকে নিয়ে যাতে একত্রিত হয়ে পথ চলা যায়, তার জন্য এবার বার্তা দিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলায় আসেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আর তারপরেই বুধবার জেলা পুলিশের উদ্যোগে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় সভায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এরপর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলীয় নেতৃত্ব এবং জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব, জেলা তৃণমূল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই বৈঠকের পর জেলায় নতুন কমিটি এবং বিভিন্ন ব্লকের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর সেখানে দলকে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।তিনি বলেন, “দলে কাজকর্ম চলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। যে কেউ নিজের বক্তব্য জানাতেই পারেন। তা নিয়ে সমস্যার কিছু নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছি।” তবে সাম্প্রতিক কালে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু থাকলেও, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে তাকে প্রশাসকমন্ডলীর একটি সদস্য পদেও রাখা হয়নি, তাতে মোহন বাবু জেলা তৃণমূল সভাপতি বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছিলেন।

যার ফলে জেলায় তৃণমূলের অন্দরে বেড়েছিল বিড়ম্বনা। এদিন অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী জেলায় উপস্থিত থাকলেও, সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি মোহন বসুকে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে অরুপ বিশ্বাস বলেন, “তিনি অসুস্থ। সুস্থ হলে দল তাকে কাজে লাগাবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূলের কাছে তাদের গলায় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। এক নেতার এক নেতার সঙ্গে অপর নেতার বনিবনা তৃণমূলে প্রায় নেই বললেই চলে। জলপাইগুড়ি জেলায় সাম্প্রতিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সঙ্গে মোহন বসুর লড়াই চরম আকার ধারণ করেছিল।

এমনকি এর ফলে মোহনবাবুর বিরাট কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও মনে করেছিল তৃণমূলের একাংশ। তেমন কোনো পরিস্থিতি অবশ্য আসেনি। কিন্তু সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন দলের সাংগঠনিক চাঙ্গা করতে রীতিমত জেলায় উপস্থিত থেকে একসাথে চলার বার্তা দিলেন। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, তারপরেও জেলা নেতারা একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে। ফলে এবারে অরূপ বিশ্বাস এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিলেও, জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!