এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে যোগী সরকারের তীব্র বিরোধিতা এআইএমআইএম প্রধানের

উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে যোগী সরকারের তীব্র বিরোধিতা এআইএমআইএম প্রধানের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের দিনে একটি বিশেষ বিল প্রকাশ্যে এনেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা ও সম্পদের সুষম বন্টনের জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে স্থিতিশীলতা আনার প্রয়োজন আছে।এই বিলে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের যে সমস্ত দম্পতিরা তাদের সন্তান সংখ্যা একটি বা দুটিতে বেঁধে রাখবেন, তাদেরকে কর্মজীবনে বাড়তি ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি দেয়া হবে। সরকারি হাউসিং স্কিমে ছাড় দেয়া হবে। এছাড়া নানা সুবিধা দেওয়া হবে। এরপর থেকেই এ বিষয়ে তীব্র ভাবে সরব হয়ে উঠেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই বিল সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধী।

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানানো হয়েছে যে, আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি ছাড়া কোনো নাগরিককে তার জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আসাদুদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল মহিলাদের ওপর ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের নির্বীজকরণের ৯৩% ই মহিলাদের করা হয়। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মহিলাদের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, মোট প্রজনন হার হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য দুসন্তান নীতি’ দেশে চালু হতে পারে না। কিন্তু যোগী সরকার এর বিরোধিতা করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার হায়দ্রাবাদের এক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের সহ-উপাচার্য আবুল কাসেম নোমানী জানিয়েছেন যে, এটি সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের স্বার্থের ক্ষতি করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যেসব পরিবারে দুজনের বেশি সন্তান আছে, তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে কোন নীতিতে? তিনি কটাক্ষ করেছেন, এই বিল মানবাধিকারের পরিপন্থী।

আবুল কাসেম নোমানীর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান জানিয়েছেন যে, দারুল উলুম দেওবন্দ এর এসব কথা বলার কোন দরকার নেই। ধর্মকে কেন এর মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে? প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ হলো ভারত। এখনো দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখনই জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার উপযুক্ত সময়। প্রসঙ্গত, যোগী সরকারের এই বিলের বিরোধিতা করেছে স্বয়ং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

সম্প্রতি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গোহত্যা ও গোমাংস বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ আনার বিল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে সরব করে তুলেছে একাধিক বিরোধী শিবিরকে। একাধিক বিরোধী শিবির বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে। সাম্প্রদায়িক বিভেদের অভিযোগও করা হচ্ছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!