প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের হাইপ্রোফাইল নেতারা রাজ্যে এসে পরিস্কার করে দিয়েছেন, এবার বিজেপির টার্গেট বাংলা দখল। আর সেই বাংলা দখলের টার্গেট থেকে যে তারা বিন্দুমাত্র সরে যেতে নারাজ, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির দখলে এসেছিল সাতটি আসন। তাই এবারে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে যখন রাজ্যে ক্ষমতা দখলের কথা ভাবছে বিজেপি, তখন সেখানে যাতে উত্তরবঙ্গের ভালো অবদান থাকে, তা এখন থেকে নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যার কারণে এবার উত্তরবঙ্গে বাড়তি নজর দিয়ে সেখানে আসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট মুখ আসলে যে গেরুয়া ঝড় বইতে শুরু করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।সূত্রের খবর, আগামী 2রা মার্চ মালদায় আসতে পারেন অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ। আর তাদের উপস্থিতিতেই বিজেপির পক্ষ থেকে এখানে মেগা রালি হতে পারে। তবে দুজনে একসাথে মালদার সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেলেও, একপক্ষ আবার অন্য কথা বলছে। তাদের দাবি, দুজন একসাথে এই সভায় উপস্থিত থাকবেন না।

সেদিন অমিত শাহ কলকাতায় এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় থাকতে পারেন। যেখানে কাকদ্বীপ থেকে বিজেপির যে পরিবর্তন যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর মালদার এই সভায় উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে যোগী আদিত্যনাথ হোক বা অমিত শাহ, উত্তরবঙ্গের মাটিতে বিজেপির এইরকম হেভিওয়েট যদি নির্বাচনের আগে সভা করতে আসেন, তাহলে তা যে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের কাছে যথেষ্ট উৎসাহের কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এমনিতেই মালদহে তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত লোকসভা নির্বাচন হোক বা 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন, এই জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলকে বারবার পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। তবে সামনের দিন যাতে এরকম না হয়, তার জন্য এখন চরম মাত্রায় চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ জেলায় এসে জানিয়ে দিয়েছেন, এবার তিনি খালি হাতে ফিরবেন না।

অর্থাৎ তৃণমূলের টার্গেট যে এবার মালদহ থেকে বিপুল আসন নিজেদের দখলে নেওয়া, তা বলাই যায়। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ যদি মার্চ মাসে মালদহে সভা করতে আসেন, তাহলে তা যে তৃণমূলের কাছে কিছুটা হলেও চাপের কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুই হেভিওয়েট হাইপ্রোফাইল বিজেপি নেতার এই মহাসমাবেশের ফলে মালদহে গেরুয়া ঝড় কতটা তীব্র হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।