এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হার মেনেছে উত্তরবঙ্গের এই ব্লকে, গত দেড় বছরে ঘটেনি কোনো কোন্দল

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হার মেনেছে উত্তরবঙ্গের এই ব্লকে, গত দেড় বছরে ঘটেনি কোনো কোন্দল


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন তৃণমূলের দলে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। যেখানে অসম সীমান্তবর্তী কুমারগ্রাম ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল ছিল রোজকার ঘটনা। আর সেই গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর প্রায়ই চোখে পড়ত।

সেই কুমারগ্রামেই গত দেড় বছরে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের একটি ঘটনাও ঘটেনি বলে জানা গেছে। আর শাসকদলের এহেন পরিবর্তন দেখেই বিরোধীরাও মনে করছেন যে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কুমারগ্রামে তৃণমূল শিবির প্রায় নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ্যের শেষ সীমান্ত ব্লকে কিভাবে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল মিটল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন কথা শোনা গেছে। প্রথমত, কুমারগ্রাম বিধানসভায় ভূমিপুত্র রাজবংশী ভোট আসে ৪৫-৪৮ শতাংশ। এছাড়া বাকি আদিবাসী ভোট আসে ৩০ শতাংশ। বাকি ভোট অনান্য সম্প্রদায়ের আসে।

তাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও ভূমিপুত্র রাজবংশীরা কুমারগ্রামে শাসকদলের বিভিন্ন কমিটিতে দীর্ঘদিন ব্রাত্য ছিলেন বলেই জানা গেছে। যার ফলে কুমারগ্রামে রাজবংশী যুব সম্প্রদায় তৃণমূলের সঙ্গে ক্ষোভ বাড়ে। ফলে এক সময় শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দল, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দলীয় পার্টি অফিস ভাঙচুর রোজকার ঘটনাতে পরিণত হয়।

আর সেই কারণেই ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কুমারগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী জেমস কুজুর জেতার পরেও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই এলাকায় ২৪ হাজার ভোটের লিড পেতে দেখা যায় বিজেপিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত অবস্থা বুঝেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব গত বছরের আগস্টে কুমারগ্রামে দলের ব্লক সভাপতি পদে রাজবংশী মুখ ধীরেশ চন্দ্র রায়কে নিয়ে আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু রাজবংশী নয়, এছাড়াও ওই এলাকায় একসময় কেএলও’র বিস্তার ছিল। সেখানে সিপিএমের আমলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও প্রাক্তন কেএলও সদস্যদের আর্থিক পুনর্বাসন হয়নি বলেই অভিযোগ আসে। এর ফলে রাজবংশী সম্প্রদায়ের কেএলও সদস্য ও তাঁদের পরিবাররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাও শাসকদলের নজর এড়ায়নি।

আর এরপরেই তাই তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে গত বছর কুমারগ্রামে অনেক প্রাক্তন কেএলও সদস্যরা আর্থিক পুনর্বাসন হিসেবে হোমগার্ডে চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখানে এবার প্রাক্তন কেএলও লিঙ্কম্যানরাও হোমগার্ডে চাকরি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা যায়। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ব্লক সভাপতি পদে ভূমিপুত্র রাজবংশী মুখ আসতেই কুমারগ্রামে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে গায়েব হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, জেলার কয়েকটি ব্লকে এখনও তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি তৈরিই হয়নি। তাই সেখানে ব্লক সভাপতি ধীরেশবাবুর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে ব্লকে ১৩টি অঞ্চলের অঞ্চল কমিটি গঠনের কাজও শেষ করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেইসঙ্গে ব্লক ও অঞ্চল কমিটিগুলি তৈরির পর এখন দলের অঞ্চলভিত্তিক কর্মিসভা চলছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে লোকসভা ভোটে বিজেপিতে চলে যাওয়া ভোটের মধ্যে থেকে তৃণমূল অনেকটা দলে ফিরিয়ে এনেছে বলেও জানা গেছে। এই কাজে ১৩টি অঞ্চলে এক বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫০০০ পরিবারকে দলে আনা গিয়েছে।

এবিষয়ে, দলের ব্লক সভাপতি ধীরেশ চন্দ্র রায় জানান, তাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদেরকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে দলের জেলা সহ সভাপতি জানান, একুশের ভোটে কুমারগ্রামে তৃণমূলই জিতবে। যদিও বিজেপির দাবি যে লোকসভা নির্বাচনের মত বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তারাই জিতবে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!