এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার চিন্তা বাড়িয়ে উত্তরবঙ্গে ফের আর এক নতুন বিধায়কের গলায় বিদ্রোহের সুর, কারণ সেই পিকে?

মমতার চিন্তা বাড়িয়ে উত্তরবঙ্গে ফের আর এক নতুন বিধায়কের গলায় বিদ্রোহের সুর, কারণ সেই পিকে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব পরিস্ফুট হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের নিম্নস্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলা হতো, কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের ওপর মহলেও যথেষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষত উত্তরবঙ্গের মাটিতে কিন্তু তৃণমূল শিবিরের ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমাগত প্রকট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই সূত্রেই এবার শাসক দলের আর এক বিধায়ক উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদ্রোহ করলেন বলে জানা যাচ্ছে।

সম্প্রতি কোচবিহারের বিধায়ক, জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা যেভাবে তৃণমূলের প্রতি বিক্ষুব্ধ মনোভাব দেখিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী। এবং সব ক্ষেত্রেই বিদ্রোহের কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে দলের ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর। এদিন পিকের টিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনন্তদেব অধিকারী জানিয়েছেন, ময়নাগুড়ি জেলার সভাপতি সব ব্যাপারেই বর্তমানে পিকের কথা বলেন। অর্থাৎ জেলা সভাপতি হলেও তাঁর বিশেষ কোনো ভূমিকা নেই। আর তাতেই ময়নাগুড়ি ব্লকের তৃণমূল সংগঠনের দিনদিন ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অনন্ত দেব অধিকারী।

তিনি তাঁর বক্তব্যটি ফেসবুকে ভিডিওবার্তা হিসেবে পোস্ট করেন সম্প্রতি। আর তারপরেই জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। অন্যদিকে ভিডিও বার্তার সাথে অনন্ত দেব অধিকারী পোস্ট করেন, তৃণমূলে তিনি যোগ্য সম্মান পেলে তবেই থাকবেন। যথারীতি প্রবীণ তৃণমূল নেতা যেভাবে বার্তা দিয়েছেন, তাতে কিন্তু স্পষ্টতই বিক্ষুব্ধ মনোভাবের টের পাওয়া যাচ্ছে, যা একশের নির্বাচনী আবহে যথেষ্ট অস্বস্তিজনক বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দলের একাংশ কিন্তু বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারীর এধরনের মন্তব্যে আমল দিতেই নারাজ। তাঁদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুরুত্ব পেতে এবং ভোটের টিকিট নেওয়ার জন্যই অনন্ত দেব অধিকারীর গলায় এরকম সুর।

আবার অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যেতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে অবশ্য জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বমি জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের যে দল লড়াই চালিয়েছিল এবং জয় পেয়েছিল, সেই টিম নিয়েই বিধানসভা ভোটে লড়াইতে নামা হবে। সেক্ষেত্রে বাহিরের কোন লোকের প্রয়োজন নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে অনন্তদেব অধিকারীর করা পোস্ট নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই অনন্তদেব অধিকারী তাঁর পোস্টটি ডিলিট করে দেন। অন্যদিকে ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী এদিন জানান, ময়নাগুড়ি অঞ্চলের তৃণমূলের তিনটি সাংগঠনিক ব্লক তৈরী করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসার ঘটছে। বস্তুতঃ তিনি পিকের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে এদিন বলেন, পিকের জন্যই দলের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে দলের ময়নাগুড়ির-৩ সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি বাবন পাল জানান, অনন্ত অধিকারী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর তাই পিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে কসুর করেননি তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে তিনি অন্য দলে গেলেও যাতে সমান গুরুত্ব পান সে কথাই তিনি স্পষ্ট করেছেন। তবে জেলা সভাপতির কারণে যে এলাকায় কাজ হচ্ছেনা, সে কথা এক বাক্যে মেনে নেন বাবন।

তিনি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলার পদমতি-১, মাধবডাঙা-২, সাপ্টিবাড়ি ১ এবং ২ এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। এ প্রসঙ্গে দু’নম্বর সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত জানিয়েছেন, বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর করা পোস্ট নিয়ে কোন কথা তিনি বলবেন না। তবে ভোটে দাঁড়ালে অনন্ত অধিকারী যে জিতবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি বলে জানিয়েছেন। তবে দল যাকেই প্রার্থী করুক না কেন স্থানীয় নেতারা অবশ্যই তার পাশে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল শিবিরে যেভাবে একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ প্রকাশ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে নিষ্ক্রিয় থাকতে চলেছেন, কিংবা দল ত্যাগ করতে চলেছেন তা কিন্তু যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলতে চলেছে তৃণমূল শিবিরকে। যথারীতি তৃণমূল নেত্রী বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেও তাতে কতটা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ থাকছে।

এবং মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় যে  বিশেষ কোনো কাজ হয়নি সে কথা আবারো প্রমাণ হলো উত্তরবঙ্গের আরো এক বিধায়কের বিক্ষুব্ধ আচরণে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অন্য অংশ মনে করছে, প্রশান্ত কিশোর আসার ফলে রাজ্যের অনেক নেতা-মন্ত্রীর রিপোর্ট কার্ড ভালো হচ্ছেনা। যার ফলে দলনেত্রীর নেক নজর থেকে তাঁরা সরে যাচ্ছেন। আর তাই হয়তো প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে বাংলার শাসক দলের একাংশের বিক্ষুব্ধতার অন্যতম বড় কারণ যে পিকে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!