এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার হঠাৎ করেই সুর বদল? নেপথ্যে তাহলে কার হাত?

উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার হঠাৎ করেই সুর বদল? নেপথ্যে তাহলে কার হাত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। রাতারাতি দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছেড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা নেত্রী। যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে সম্প্রতি দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জের অতিপরিচিত তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস ওরফে কেষ্টা। রীতিমত বেসুরো হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন দল ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু সেই অবস্থায় তড়িঘড়ি কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারপরেই কৃষ্ণ দাসের  সুর বদল।

উত্ত্রবঙ্গের জাঁদরেল তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর অনুগামীরা মিলে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। আর সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, রাজগঞ্জের এবারের প্রার্থী খগেশ্বর রায়। এবং তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের হয়ে কাজ করবেন, প্রচার করবেন খগেশ্বর রায়ের হয়ে। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কি কথা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কোনো উত্তর দেননি কৃষ্ণ দাস। তবে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে কৃষ্ণ দাসকে হয়তো বিধানসভা পরিষদের সদস্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আর তাই হয়তো কৃষ্ণ দাস তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেছেন।

কৃষ্ণ দাস হলেন জলপাইগুড়ির এস সি, এস টি, ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি, পাশাপাশি এলাকার বহুল পরিচিত মুখ। আর তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণ দাসকে প্রার্থী করার আবেদন জানানো হয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়, দলের হাইকমান্ড কৃষ্ণ দাসকে প্রার্থী না করে প্রাক্তন বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে প্রার্থী টিকিট দিয়েছে। যথারীতি কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর অনুগামীরা এই প্রার্থী তালিকায় খুশি হতে পারেননি। ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা দলের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা। এই অবস্থায় কৃষ্ণ দাস ঘোষণা করেন, তিনি দল থেকে চলে যাবেন এবং নির্দল প্রার্থী হয়ে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার পরেই অভিষেক ব্যানার্জির ডাক আসে কৃষ্ণ দাস এর কাছে। এদিন অভিষেক ব্যানার্জি সম্পর্কে কৃষ্ণ দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাঁকে যখন অভিষেক ব্যানার্জি জিজ্ঞাসা করে তাঁর ইচ্ছা সম্পর্কে তখন তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন দলের সঙ্গে কোন দর কষাকষিতে তিনি যাবেন না। যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই দায়িত্বই তিনি মাথা পেতে নেবেন। পাশাপাশি কৃষ্ণ দাস আরো জানান, খগেশ্বর রায় সম্পর্কে তাঁর কিছু অভিযোগ ছিল। কিন্তু অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করার পর তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। পাশাপাশি কৃষ্ণ দাসের বিজেপি যোগ নিয়ে যখন কথা ওঠে, তখন তিনি জানান বিজেপি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি কিন্তু বিজেপিকে না করে দিয়েছেন।

খুব স্বাভাবিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গে কৃষ্ণ দাসের মতন একজন বিপুল অনুগামীযুক্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা যদি তৃণমূল ছেড়ে দিতেন তাহলে আখেরে ক্ষতি হতো তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিষেক ব্যানার্জি কৃষ্ণ দাসকে আটকে রাখতে সমর্থ হলেন। যথারীতি বিজেপিতে তাঁর যাওয়ার সম্ভাবনা আর রইল না বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। সেই লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু। আর এখন এই ভাঙন তো ধ্বসের আকার নিয়েছে। কিন্তু সেই জায়গায় উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট নেতাকে আটকে অভিষেক ব্যানার্জ্জী কিছুটা মুখ রক্ষা করলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!