এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গ নিয়ে কি এবার রীতিমত চাপের মুখে বিজেপি? ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল সহ অন্যরা?

উত্তরবঙ্গ নিয়ে কি এবার রীতিমত চাপের মুখে বিজেপি? ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল সহ অন্যরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ছেয়ে যায় গেরুয়া পতাকায়। শাসক দল সেখানে কিছুই করে উঠতে পারেনি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গ ফিরে পাওয়ার দিকে কড়া নজর যেমন দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, তেমনিই বাম কংগ্রেস জোটও এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যথারীতি উত্তরবঙ্গে যেরকম শাসকদলের তৎপরতা বেড়েছে ঠিক সেভাবেই বাম-কংগ্রেস জোটও যথেষ্ট তৎপর। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পদ্ম শিবিরকে উত্তরবঙ্গে যথেষ্ট অগোছালো লাগছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি গেরুয়া শিবির থেকে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে যোগদান মেলা।

কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি এবং রায়গঞ্জে এই যোগদান মেলায় কিন্তু বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকলেও সেরকম উল্লেখযোগ্য কাউকে পদ্ম শিবিরে যোগদান করতে দেখা যায়নি। যথারীতি এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে 37 টি বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পায় বিজেপি, যার মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। এই শহরেই ছিল সম্প্রতি যোগদান মেলা। কার্যত সেটি ফ্লপ করে। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য কিন্তু শিলিগুড়িতে শুরু করেছেন জনসংযোগ কর্মসূচির পাশাপাশি নিয়মিত মিছিল ও পথসভা।

বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। শিলিগুড়ি মহকুমার আরেকটি বিধানসভা কেন্দ্র হল মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি। এই কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে থাকে। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রটি হারায় কংগ্রেস। এবার সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার করতে ট্রাক্টর মিছিল-সভা, পদযাত্রা সহ তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর মালাকার জানান, তৃণমূল এই এলাকায় প্রচারে থাকলেও বিজেপিকে কিন্তু দেখা যাচ্ছেনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে লড়াই হবে জোট বনাম তৃণমূলের। তৃণমূলের আর এক কেন্দ্র ফুলবাড়ী থেকেও কিন্তু লোকসভা ভোটে লিড পায় বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। একুশের বিধানসভার নির্বাচন আসতেই এই কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পাশাপাশি প্রশাসনিক মিটিং থেকে শুরু করে দলীয়ভাবে মিটিং-মিছিল করছেন গৈতম দেব। শিলিগুড়ি বা তার আশেপাশে কোচবিহার থেকে মালদা সর্বত্রই এবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপি ছাড়া বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার উত্তরদিনাজপুর রায়গঞ্জের যোগদান মেলা কর্মসূচি করে বিজেপি। যথারীতি এই মেলায় হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা হাজির হলেও উল্লেখযোগ্যভাবে কোন তৃণমূল নেতা যোগ দেননি বলে জানা যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবার তৃণমূল কিন্তু অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে উত্তরবঙ্গের সংগঠন। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধারে। 3 জন বিধায়ক দলত্যাগ করা ছাড়া উত্তরবঙ্গের তৃণমূল গড়ে কিন্তু সেভাবে ভাঙন ধরাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে কিন্তু এবার প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। লোকসভা ভোটের লিড ধরে রাখাই তাঁদের মূল লক্ষ্য এই মুহূর্তে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মুখে কিন্তু বিজেপি স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে।

পাশাপাশি তিনি দাবী করেছেন, নির্বাচনের আগেই তৃণমূল থেকে প্রচুর বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন। বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দলবদলের ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছে তৃণমূল। কিন্তু তা সত্বেও উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপিকে সরাতে যেভাবে তৃণমূল এবং কংগ্রেস সিপিএম জোট উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে কিন্তু বিজেপির বিধানসভার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত দেখার, এই লড়াইতে টিকে থাকতে গেরুয়া শিবির এবার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!