এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শুধু জিতলেই হবে না, তৃণমূলকে করতে হবে ওয়াশ আউট? দলীয় কর্মীদের কোন গোপন মন্ত্র দিলেন নাড্ডা?

শুধু জিতলেই হবে না, তৃণমূলকে করতে হবে ওয়াশ আউট? দলীয় কর্মীদের কোন গোপন মন্ত্র দিলেন নাড্ডা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই সমস্ত আসনে যাতে বিধানসভাতেও জয় আসে, তার জন্য শিলিগুড়িতে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের টার্গেট বেঁধে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের 54 টি বিধানসভা আসনের মধ্যে 50 টিরও বেশি বিধানসভা আসনে দলীয় কর্মীদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই নির্দেশেই কার্যত পরিষ্কার যে, আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে দলের নেতাকর্মীদের এই টার্গেট বেঁধে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, যেনতেন প্রকারে এই টার্গেট পূরণ করতে হবে। আর তার জন্যই এখন থেকে রাস্তায় নামার পরামর্শ দেওয়া হল বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্বদের। সূত্রের খবর, এদিন সকাল 11 টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে নৌকাঘাটের ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা মোড়ে পৌঁছন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যেখানে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সেবক রোডের একটি হোটেলে আসেন জেপি নাড্ডা।

আর সেখানেই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি , তারপরেই বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তাকে। জেপি নাড্ডা বলেন, “আগামী ছয় মাস আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর পরেই আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসব। তার জন্য এপ্রিল মাস পর্যন্ত কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” এদিকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা নানা বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে। তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে। বিভিন্ন বোর্ড গঠন করে লোকজনকে আলাদা করে দিচ্ছে। তৃনমূল বলছে, এখানে আয়ুষ্মান ভারত হতে দেব না। আমরা ক্ষমতায় এলে তা করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে যেভাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পঞ্চাশটির বেশি আসন দখল করার জন্য যে টার্গেট বেঁধে দিলেন, তা যদি বাস্তব হয়, তাহলে তো তৃণমূল অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়বে! এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির নেতা কিছু সময়ের জন্য দিল্লি থেকে উড়ে এসে অনেক কথাই বলে যেতে পারেন। চোখ খুলে দেখলে বিজেপি নেতারা বুঝতে পারবেন, ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। বাংলার মৈত্রীর পরিবেশ বিজেপি ভেঙে দিতে চাইছে।”

একইভাবে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিজেপি দেশকে ধ্বংস করছে। বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। 53 হাজার কোটি টাকার বেশি রাজ্যের কাছে প্রাপ্য রয়েছে। সেই টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না!” সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিধানসভা দখল করার টার্গেট বেঁধে দিতেই বিজেপি নেতা কর্মীরা কার্যত তৎপরতা অবলম্বন করলেন। আর তাদের সেই তৎপরতা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা ছোড়া হল চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির উত্তরবঙ্গ সফরের পরই তৃণমূল-বিজেপি তরজা বহুগুণে বৃদ্ধি পেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!