এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গ কি সত্যিই চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূলের? মমতার পর ফের পিকে-অভিষেক ছুটছেন

উত্তরবঙ্গ কি সত্যিই চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূলের? মমতার পর ফের পিকে-অভিষেক ছুটছেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর একটি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে একটি আসনও উত্তরবঙ্গ থেকে আসেনি। আর তারপর থেকেই উত্তরবঙ্গকে পাখির চোখ করে সেখানকার সংগঠনে পরিবর্তন আনতে শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু তারপরেও সেই উত্তরবঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সহ একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান অস্বস্তিতে ফেলতে ঘাসফুল শিবিরকে। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার সেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে শিলিগুড়িতে আসতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।

সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী 4 জানুয়ারি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর শিলিগুড়ি আসছেন। যেখানে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং শিলিগুড়ির একাধিক তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। মূলত দলবদলের মত বিষয় এবং দলে যাতে গোষ্ঠী কোন্দল আটকানো যায়, তার জন্যই তাদের এই উত্তরবঙ্গ সফর বলে দাবি করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথে পা বাড়িয়েছেন উত্তরবঙ্গের একাধিক তৃণমূল নেতা। দশরথ তিরকি, শুক্রা মুন্ডা, মিহির গোস্বামীর মত তৃণমূল বিধায়করা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একইভাবে শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতাও যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি বিভিন্ন জেলায় দলের ভাঙ্গন যখন বাড়তে শুরু করেছে, তখন তা ঠেকাতে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উত্তরবঙ্গ সফর বলে জানা যাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, কোচবিহার, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে যে সমস্ত নেতা দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন, তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “দলের ভাঙ্গন যতদূর সম্ভব ঠেকাতে সংগঠনের পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য অভিষেক এবং পিকে আসছেন। তেমনই কোন্দল বন্ধ করতে কিছু জায়গায় দায়িত্ব পরিবর্তন করতে পারেন তারা।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি আবার উত্তরবঙ্গের সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনিতেই কিছুদিন আগে বিভিন্ন জেলায় সংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল শাসকদলের অন্দরমহলে। যার পরবর্তী সময়কালে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন একাধিক বিধায়ক। ফলে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল শাসকদলের। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই অস্বস্তি দূর করতে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং প্রশান্ত কিশোরের উত্তরবঙ্গ আগমন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক অটুট রেখে রাজবংশী, আদিবাসী গোর্খাদের দিকে নজর রাখাটাই এখন প্রথম কাজ. সেখানে কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির মত এলাকা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করতেই কলকাতা থেকে নেতারা আসছেন।” অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এককালে শুভেন্দু অধিকারী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দলের দায়িত্বে ছিলেন। সেদিক থেকে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর উত্তরবঙ্গের অনেক নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন।

তাই ভবিষ্যতে এই প্রবণতা যদি আটকানো না যায়, তাহলে শাসক দলকে অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়তে হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করা যে অত্যন্ত জরুরি, তা বুঝতে পেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর উত্তরবঙ্গে আসার জন্য উদ্যত হয়েছেন বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর উত্তরবঙ্গের সংগঠনের পুনরুদ্ধার করতে কি বার্তা দেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!