উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবির মাঝেই নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর পোস্টার, ব্যাপক চাপে তৃণমূল! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজ্য June 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ জন বারলা উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন। যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল বিজেপির সাংসদ যখন এই দাবি তুলে ক্রমাগত শাসকদলের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন, ঠিক তখনই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল কেএলও। যেখানে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় রীতিমত পোস্টার দিয়ে রাজবংশীদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানাতে দেখা গেল নিষিদ্ধ এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা সামনে আসার পরেই তৃণমূলের চাপ আরও বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেদিক থেকে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক রাজবংশী মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে কেএলওর পক্ষ থেকে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে রীতিমত হিংসা বন্ধ করার কথা বলে তৃণমূলকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, এদিন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় কেএলওর পক্ষ থেকে দেওয়া পোস্টার চোখে পড়ে। যেখানে পোস্টারে লেখা হয়েছে, “চোপড়ার ভূমিপুত্র রাজবংশীদের ওপর যদি তৃণমূলের অত্যাচার বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা আছি।” স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টার সামনে আসতেই রীতিমতো তরজায় জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এই দুই রাজনৈতিক দল। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ। এমনিতেই উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। আর তার মধ্যে রাজবংশীদের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরে যেভাবে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেল কেএলওকে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পোস্টার পড়ল, তাতে চাঞ্চল্য আরও বৃদ্ধি পেল। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় মূল অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিজেপির দিকে। এদিন এই প্রসঙ্গে চোপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, “চোপড়ায় কেএলও বলে কেউ নেই। এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত। কারণ ওরা উত্তরবঙ্গ বিভাজন ছড়ায়। শুধু রাজবংশীরা নয়, সব ধর্মের সব ধরনের মানুষেরা চোপড়ার ভূমিপুত্র। এটা বিজেপির চক্রান্ত।” যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সুরজিত সেন বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারে এলাকার মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তবে বিজেপি এই সমস্ত কিছু সমর্থন করে না। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।” যদিও বা যাদের পোস্টার নিয়ে এত হৈচৈ পড়ে গিয়েছে, সেই কেএলওর পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সাংসদের উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবির মাঝেই কেএলওর নাম দিয়ে এই পোস্টার এখন নয়া চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -