উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট এই তৃণমূল বিধায়ক আবারো বেসুরো গাইছেন! দলবদলের জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য January 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের একের পর এক নেতা, সাংসদ, বিধায়ক বর্তমানে বেসুরো হয়ে পড়ছেন, যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে বড়োসড়ো চাপের সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরি নেই। বাংলার মসনদ দখল করতে ইতিমধ্যেই উঠেপড়ে লেগেছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু তার মধ্যেই শাসকদলের বিভিন্ন বিধায়ক যেভাবে বেসুরো হয়ে পড়ছেন, তাতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল সামলানো দায় হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, দলবদলের জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এবার আরও এক তৃণমূল বিধায়ক বেসুরো হলেন। ময়নাগুড়ি তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে জেলা পরিষদের দিকে আঙুল তুললেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী সোমবার জেলা পরিষদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। বিধায়ক প্রকাশ্যে ময়নাগুড়ির জেলা পরিষদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, কোন অনুষ্ঠানেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে ডাকা হয় না। প্রসঙ্গত, যে অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক এই মন্তব্য করেছেন, সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা বর্মন। আক্রমণের মুখে পড়ে অনুষ্ঠান শেষ হবার আগেই তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী এদিন জল্পেশ মেলার মঞ্চ থেকে বলতে শুরু করেন, জল্পেশ মেলা উদ্যোক্তা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেলার সময় কোথায় কি হবে তা দেখতে আসেন এবং প্রশাসনিক বৈঠকও করেন। কিন্তু কারোর মনে থাকেনা বিধায়ক স্থানীয় লোক, তাঁকে ডাকা উচিত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনন্ত দেব অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয়না। অন্যদিকে যার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সেই জেলা সভাধিপতি উত্তরা বর্মন অবশ্য সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, সকলকেই ডাকা হয়। বিধায়ক কেন এরকম বললেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া প্রমুখ। জল্পেশ মেলা মাঠে দীর্ঘদিন ধরেই মঞ্চ বানানোর দাবি জানিয়ে আসছে ময়নাগুড়ির সাধারণ বাসিন্দারা। সেই দাবি পূরণ করা হলো এদিন। সাধারণ মানুষের মনের আশা পূরণ করলেও আদতে তৃণমূল নেতৃত্ব যে দলের বহু বিধায়ক, নেতার মনের আশা পূরণ করতে পারছেন না তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে একের পর এক বিধায়ক, সাংসদের বেসুরো হওয়ায়। অন্যদিকে বিরোধীরা কিন্তু এই বেসুরো তৃণমূল সদস্যদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরকে পারতপক্ষে বিপাকে ফেলার নামান্তর। আপনার মতামত জানান -