উত্তরবঙ্গের দুঃখের ভাগিদার হতে দিনভর এলাকায় পরে রইলেন মমতার দুই অনুগত হেভিওয়েট সৈনিক উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য January 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শিলিগুড়ির ধুপগুড়ির ঘটনা এখনো জ্বলজ্বল করছে। দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের আর্তনাদ নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকেও। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও নিহত এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষতিপূরণ আসার আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব মৃতদের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং আহতদের পরিবারের হাতে 50000 টাকার চেক তুলে দিলেন। শুধু তাই নয়, আহত এবং নিহতদের পরিবারের পাশে রাত জেগে পরিস্থিতিও সামলালেন। তবে বিরোধিদের দাবী, এসবই ভোটের রাজনীতির নামান্তর। এদিন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি এসেছেন নিহত এবং আহত পরিবারদের পাশে থাকতে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে ধুপগুড়ির সড়ক দুর্ঘটনায় 14 জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিল শিলিগুড়ির সম্ভাবনাময় অ্যাথলিট কোয়েল বর্মন। বৃহস্পতিবার দুপুরে একমাত্র মেয়ের ছবি, সার্টিফিকেট, পদক জড়িয়ে বাবা-মা আর্ত কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের কাছে যান পূর্তমন্ত্রী, পর্যটন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার। সমবেদনা জানিয়ে তাঁরা কোয়েলের মায়ের হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। এভাবেই আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে 50 হাজার টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর শিলিগুড়িতে দুটি নার্সিং হোমে গিয়ে পূর্তমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। অন্যদিকে জানা গেছে, দুর্ঘটনা ঘটার 48 ঘণ্টার মধ্যে 14 জন মৃতের আত্মীয় এবং 16 জন আহতের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, ধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় মৃতদের দু’লক্ষ এবং আহতদের 50 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অবশ্যই ব্যাপারটি এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির সংসদ বিজেপির জয়ন্ত রায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষতিপূরণ এখনো না পৌঁছানোয় স্বাভাবিকভাবেই আহত এবং নিহতদের পরিবার থেকেও মুখ খুলতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে রাজ্যের মন্ত্রীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং হাতে হাতে আহত ও নিহতদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক পৌঁছে দিলেন, তাঁরা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে পুরোটাই যে স্বতঃস্ফূর্ততা নয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। এর পেছনে অবশ্যই একুশের বিধানসভা নির্বাচন অন্যতম অনুঘটকের কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিপূরণের দিক থেকে প্রথম রাউন্ডে গেরুয়া শিবির পিছিয়ে গেল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -