এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে ভিন্নমত আরএসএস ও বিজেপির, বাড়ছে বিতর্ক

উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে ভিন্নমত আরএসএস ও বিজেপির, বাড়ছে বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার পরে এবার গেরুয়া শিবিরের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। কার্যত বরাবরই দেখা গেছে, গেরুয়া শিবিরের অন্যতম তুরুপের তাস ধর্মীয় মেরুকরণ। কিন্তু এবার সেই তাস আদৌ কাজে লাগবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্বয়ং বিজেপির অন্যতম সঙ্গী আরএসএস। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গলায় শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। তিনি মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে এসেছিলেন, প্রত্যেকের ধর্ম আলাদা হতেই পারে, কিন্তু প্রত্যেকেই ভারতীয়। সেক্ষেত্রে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, যারা গণপ্রহারে বিশ্বাসী তাঁরা কিন্তু আদৌ হিন্দুত্ববাদী নয়।

খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বার্তা যে উত্তরপ্রদেশের ভোটের আবহে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংক অধিগ্রহণের নামান্তর, তা বুঝতে বাকি থাকেনা। কার্যত আরএসএস এর এই আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ বাংলায় হয়ে যাওয়া একুশের বিধানসভা নির্বাচন। দেখা গেছে, বাংলাতেও মুসলিম সম্প্রদায় বিজেপির পালাবদলের ওপর জল ঢেলে দিয়েছে। বাংলা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরএসএস মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে আলাদা চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে 7 জন মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু কোন মুসলমানকে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

আর সেখানে দাঁড়িয়ে আরএসএস এর একটি সূত্র মনে করছে, উত্তরপ্রদেশে যদি মুসলিম মন্ত্রী রাখা হতো, সেক্ষেত্রে ফলাফল গেরুয়া শিবিরের পক্ষে হয়তো যেত। যদিও গেরুয়া শিবিরের ধারণা আবার অন্য। তাঁদের মতে, মুসলিম মন্ত্রী হলেই যে মুসলিম ভোট তাঁদের পক্ষে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অবশ্য হিন্দুত্ববাদী স্লোগানের ওপর ভিত্তি করে বিজেপি যে মুসলিম ভোটের প্রত্যাশাও করেননা তা জানা কথাই। কিন্তু বাংলার মতন উত্তরপ্রদেশেও যদি মুসলিম ভোট একমুখী হয়ে পড়ে তাহলে কিন্তু বিপদ বাড়তে পারে বিজেপির। আর সেখান থেকেই আরএসএসের উদ্বেগ বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল মুসলিম সম্প্রদায় কংগ্রেস এবং সিপিএমকে বাদ দিয়ে একেবারে এককাট্টা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর সেখান থেকেই আরএসএস নেতৃত্বে আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশেও যদি মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক বিজেপিকে বাদ দিয়ে একদিকে চলে যায় তাহলে কিন্তু চাপ বাড়বে। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের লড়াই হবে চতুর্মুখী। বিজেপি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি। আর সেখানে উত্তরপ্রদেশের 19 শতাংশ মুসলিম ভোট যাতে কোনোভাবেই অন্যদিকে না যায়, সে চেষ্টাই চালাচ্ছে আরএসএস।

তবে বিজেপি নেতৃত্ব উত্তর প্রদেশের মুসলিম ভোট ভাগের ক্ষেত্রে আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে আবার কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু সেখানেও সমস্যা রয়েছে। আরএসএস মনে করছে, বাংলার ক্ষেত্রেও এই একই টোটকা প্রয়োগ করেছিল বিজেপি, কিন্তু বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে ওই টোটকা পুরোপুরি বিফল হয়েছে। অন্যদিকে আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

তাই বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও একই ছবি যাতে না হয়, তাই এবার মুসলিমদের সাথে নিয়ে পথ চলায় বিশ্বাসী আরএসএস। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আরএসএস যে ধরনের বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছে, বিজেপি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছে তাই নিয়ে। তাই এবার  দুই কর্ণধারের মধ্যে চিন্তাধারার ফারাক সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!