এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উত্তরপ্রদেশের হাথরস ধর্ষণ ঘটনার আঁচ বাংলায়, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ অনেকের !

উত্তরপ্রদেশের হাথরস ধর্ষণ ঘটনার আঁচ বাংলায়, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ অনেকের !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর উপরে নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে মুখরিত সমগ্র দেশ। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার সহ গৈরিক শিবিরকে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় তুলেছে সমগ্র বিরোধী শিবির। প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের গণধর্ষিতা নির্যাতিতার মৃত্যু ঘটে। অভিযোগ উঠেছে যে, গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর ৪ জন অভিযুক্ত মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করেছিল। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে তাঁর উপরে চলা এই গণধর্ষণের এই ঘটনা। সেদিন অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি ঘটলে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই কয়েকদিনের অসম লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই হতভাগ্যা।

যোগী সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষভ, যোগী পুলিশের অকর্মণ্যতা, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে অসহযোগিতা, সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে সরব যখন সমগ্র দেশ। সেই আবহে গতকাল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের স্বরূপনগর সীমান্তবর্তী সারাফুল নির্মল গ্রামে বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলেন ৫০০ এরও বেশি বিজেপি পরিবার।

গতকাল সারাফুল নির্মল গ্রামে এক বিশেষ দলীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু তৃণমূল নেতৃবর্গ যাদের মধ্যে ছিলেন স্বরূপনগরের তৃণমূলী বিধায়ক বিনা মন্ডল, তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদ, রমেন সরদার, সারাফুল নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, বাবলু সরকার সহ তৃণমূলের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। গতকালের সভায় প্রথমে হাথরাসের গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ শোক জ্ঞাপন কর্মসূচি পালন করা হলো। তারপর সারাফুল নির্মল গ্রামের ৫০০ এরও বিজেপি পরিবার তৃণমূল দলে যোগদান করলেন। বিজেপির সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি সিপিএম পরিবারও যোগদান করলেন তৃণমূলে। মোট ১২৬০ জন কর্মীর যোগদান পর্ব চললো। বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে আসা এই নবাগত তৃণমূল সদস্যদের হাতে এদিন তৃণমূল দলের পতাকা তুলে দিলেন স্বরূপনগরের বিধায়ক বিনা মন্ডল। নবাগতদের স্বাগত জানানো হলো তৃণমূল দলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যোগীরাজ তথা বিজেপি শাসনের ওপর রুষ্ট হয়েই তাঁদের এই বিজেপি ত্যাগ। গতকাল তৃণমূল ভুক্ত হওয়া প্রাক্তন বিজেপি নেতা কালীকিংকর বিশ্বাস ও প্রাক্তন সিপিএম নেত্রী আরতি বিশ্বাস জানালেন যে, তাঁরা বিজেপি সরকারের পাশে নেই। যোগীর রাজ্যে যেভাবে দলিত নারীর উপরে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সমগ্র দেশ। যার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, ধর্ষণের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যোগী সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আপত্তিকর। যোগী সরকারের পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। তাদের পাশে কেউ দাঁড়াতে চাইলে, তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই বিজেপি সরকারের প্রতি ঘৃণায় এভাবে দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। তাঁদের সংশয়, পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে এখানেও অনুরূপ আচরণই করতে দেখা যাবে বিজেপিকে।

প্রসঙ্গত একে কেন্দ্রীয় কৃষি বিল, তার উপরে হাথরাসের গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট বিপাকে যখন বিজেপি, সেসময়ে একাধিক বিজেপি সদস্যের এই দলবদল রাজ্য বিজেপিকে আরও সমস্যায় যে ফেলে দিল, তা অস্বীকার করার উপায় নেই বললেই চলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!