এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জয় নিয়ে কতটা নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা? হিসাব কি বলছে?

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জয় নিয়ে কতটা নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা? হিসাব কি বলছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আর কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। কার্যত উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের কাছে pre-test বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। আর সেখানেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কার্যত উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারানো নিয়ে বিরোধীরা যতই দাবি করুক না কেন, কার্যক্ষেত্রে তা কিন্তু যথেষ্ট কঠিন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বরাবরই জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রসঙ্গত মনে করা হয়, উত্তরপ্রদেশ যার দখলে থাকবে দিল্লি দখল সেই করবে। দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে সবথেকে বেশি সাংসদ লোকসভায় যায়। উত্তরপ্রদেশের 2017 সাল থেকে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর মেয়াদ শেষে 2022 এ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। যদিও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতি এবং কৃষক আন্দোলন যথেষ্ট ছাপ ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা পঞ্চায়েতের 3048 টি আসনের মধ্যে নির্দল দখল করে 944 টি আসন এবং বিজেপি পায় 768 টি আসন। অন্যদিকে এসপি এবং বিএসপি যথাক্রমে 759 ও 319 টি আসন পেয়েছে।

কার্যত উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যথেষ্ট অসুবিধা রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু অসুবিধা থাকলেও সবথেকে বড় সুবিধা সেখানে বিজেপি বিরোধীদের মধ্যে দূরত্ব। যার জেরে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে একা বিজেপিকে হারানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি বিজেপি রাম মন্দির এবং হিন্দুত্ব ইস্যু নিয়ে প্রচার চালানোয় কিছুটা সুবিধা পেয়েছে। 2014, 2019 এর লোকসভা এবং 2017 বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তাঁর সহযোগী গোষ্ঠীগুলি উত্তরপ্রদেশের প্রায় 45 শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিরোধী এসপি এবং বিএসপির ভোট কুড়ি শতাংশ এবং কংগ্রেসের ভোট সবথেকে কম। যথারীতি এখানে বিরোধীদের থেকে অন্তত 10 শতাংশ ভোটে এগিয়ে থেকেছে বিজেপি। কার্যত বিজেপি ইউপিতে ভোট ভাগের সুবিধা ভোগ করছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 2019 এ লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য এসপি এবং বিএসপি একত্রে লড়াই করেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিজেপির থেকে তাদের তফাৎ ছিল 10 শতাংশের বেশি। বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভালো হয়েছিল। আপাতত বিরোধীদলের একজোট হয়ে লড়াই করা সম্ভব নয় ইউপিতে। কারণ ইতিমধ্যেই দুই দল ঘোষণা করে দিয়েছে তাঁরা একসঙ্গে লড়াই করবেনা।

অন্যদিকে বিজেপির পক্ষে হিন্দু ভোট যাচ্ছে। তারমধ্যে উচ্চবর্ণের ভোট যেমন বিজেপি পাচ্ছে, ঠিক সেরকমই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ভোটও আদায় করছে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টির ভিত্তি যাদবদের ভোট। অতএব বিজেপি যাদবদের বাদ দিয়ে বাকি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ভোট পাচ্ছে। এছাড়াও বিএসপির বিরোধী যে সব ভোট রয়েছে সেই ভোটগুলিও বিজেপি পাচ্ছে। একইসাথে মুসলিম ভোট ভাগ হচ্ছে এসপি, বিএসপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। যথারীতি এর সুবিধা নিচ্ছে বিজেপি।

তাই সবদিক নজরে রেখে এখন থেকেই বলা যায়, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীরা যদি একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে না পারে, তাহলে দ্বিতীয়বারের জন্য গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। আপাতত একাধিক হিসেব-নিকেশের ওপর ভর করে আগামী দিনে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কোন নতুন সমীকরণ তৈরি হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!