এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভ্যাকসিন নিয়ে কি বাড়ছে দুশ্চিন্তা? জেনে নিন আসল-নকল ভ্যাকসিন চেনার কিছু উপায়

ভ্যাকসিন নিয়ে কি বাড়ছে দুশ্চিন্তা? জেনে নিন আসল-নকল ভ্যাকসিন চেনার কিছু উপায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মঙ্গলবার নিজের অজান্তেই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। পরে তিনি জানতে পারেন, ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে গিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি। এরপরই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। একজন সাংসদের সঙ্গে যদি এমন হয়, তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমনটা ঘটবে না? তার নিশ্চয়তা কে দেবে? তাই অনেকের মধ্যেই এই আতঙ্ক গ্রাস করছে। একে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাড়াতে হচ্ছে, এরপর ভ্যাকসিন যদি ঠিক না হয়? সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা হবারই কথা। তাই ভ্যাকসিন আসল, না নকল? এটা বোঝার জন্যে রইলো কিছু উপায়।

সাধারণত, করোনার ভ্যাকসিন নেবার আগে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। সে ক্ষেত্রে ফোনে একটি মেসেজ আসবে। মেসেজ এলে সন্দেহের কোন কারণ থাকবে না। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত যে, এটি কোন ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টার নয়। তবে অনেক সময় এই মেসেজ আসতে কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে দেরি হলেও ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আর ভ্যাকসিন নেবার পর ফোনে মেসেজ আসবে। যা দেখে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।

এক্ষেত্রে, প্রধান বিষয় হলো ভ্যাকসিনের ভাওয়াল যদি আসল হয়, তবে তার একটা নির্দিষ্ট আকার থাকবে, তার গায়ে ব্যাচ নম্বর থাকবে, ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, এক্সপায়ারি ডেট থাকবে। কিন্তু সেদিন যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, তার ভাওয়াল আকারে ছোট ছিল, এই ধরনের কোন কিছু গায়ে লেখা ছিল না। তবে এক্ষেত্রে একটি সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যা হল, যে ভাওয়াল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তা সবসময় মানুষের সামনে খোলা হয় না। তাই, মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয় যে, কোন ভাওয়াল থেকে তাকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানুষ নয় সরকারকে সতর্ক হতে হবে। তবে, টিকা নেওয়ার পর বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলে সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশের কাছেও যেতে হতে পারে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যদি সন্দেহ হয় যে, শরীরে ভুয়ো ভ্যাকসিন চলে গেছে, সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেবার দু-তিন সপ্তাহ পরে অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো যেতে পারে। ভ্যাকসিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে কিনা? সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বোঝা যাবে যে, যে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে, সেটি আসল না নকল?

তবে, শেষ পর্যন্তই এ কথাই বলা যায় যে, অযথা ভ্যাকসিন বিষয়ে আতঙ্ক না বাড়াতে, সতর্ক থাকতে। কোন সন্দেহ হলেই সরকারের দ্বারস্থ হতে। অন্যদিকে, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক হবে, এমনটাই আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে ভুয়ো ভ্যাকসিনের আশঙ্কা হ্রাস পাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!