এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভ্যাকসিন-কান্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের আরেক জালিয়াতির পর্দাফাঁস, হতবাক গোয়েন্দারা!

ভ্যাকসিন-কান্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের আরেক জালিয়াতির পর্দাফাঁস, হতবাক গোয়েন্দারা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিনের নামে সরাসরি প্রতারনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন দেবরঞ্জন দেব নামে এক ভুয়ো প্রভাবশালী ব্যাক্তি। সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে সাংসদ, একাধিক ব্যক্তিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন প্রদান করে রাজ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে এই অভিযুক্ত। কিন্তু অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করার পরেও তদন্তকারীরা যত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ততই সামনে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হতবাক তদন্তকারীরা।

কখনও আইএস, কখনও আইপিএস, কখনও পৌরসভার উচ্চপদস্থ আধিকারিক এমন নানা পরিচয়ে একাধিক ব্যক্তি এবং ব্যক্তিবর্গকে ঠকিয়ে এসেছে এই অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তদন্ত চালিয়ে জানা গেছে, সরাসরি জালিয়াতির পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও জালিয়াতি করত ওই অভিযুক্ত। এমনকি তার জন্য অফিস সাজিয়ে বসেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। পাছে কর্মীদের কাছে সন্দেহভাজন হতে হয়, সেই কারণে ভুয়ো মেইল আইডি বানিয়ে প্রতারণা করতেন তিনি। এমনকি ওই আইডি থেকেই নিজের অফিসে নিয়োজিত কর্মীদের বেতন সরবরাহ করতেন ধৃত দেবাঞ্জন দেব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন দেব যে ইমেইল আইডি ব্যবহার করতেন, তার নাম, “পশ্চিমবঙ্গ ফিনকর্প অনুরুপ মেসার্স।” মনে করা হচ্ছে, সরাসরি বেতন প্রদান করলে কর্মীদের সন্দেহ হতে পারত। তাই সেই সন্দেহ থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পৌরসভার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ‘কেএমসিজিওভি.সিআরজি’ নামে আলাদা একটি ইমেইল খোলেন দেবাঞ্জন দেব। যার মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করতেন তিনি।

সকলকে চমকে দেওয়ার মত ধৃত এই অভিযুক্ত সমাজের চোখে নিজেকে প্রভাবশালী প্রতিপন্ন করতে মরিয়া ছিলেন বলেই মত তদন্তকারীদের। যেখানে তিনি একাধিক সরকারি দপ্তরের ভুয়ো নথিপত্র, স্ট্যাম্প এমনকি ওয়েবসাইট লিঙ্ক ব্যাবহার করতেন। যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এবং সরকারি সাহায্য প্রার্থনা করলে তৎক্ষণাৎ তাকে সাহায্য করতে উদ্যোগী হতেন ধৃত।

এক্ষেত্রে যে দপ্তর সংক্রান্ত অভিযোগ, সেই দপ্তরের ভুয়ো সিল বানিয়ে অভিযোগের জবাব লিখে নিজেই পাঠিয়ে দিতেন অভিযোগ কর্তাকে। এহেন কার্যকলাপ দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। অনেকের কাছ থেকে সরাসরি টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফ থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেনগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে দেবাঞ্জন দেবের এই প্রতারণা এখন ভাবাতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!