এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অপেক্ষার অবসান! আর মাত্র দুমাসের মাথাতেই এসে যাবে করোনা ভ্যাক্সিন? খোদ WHO-এর কথায় জল্পনা!

অপেক্ষার অবসান! আর মাত্র দুমাসের মাথাতেই এসে যাবে করোনা ভ্যাক্সিন? খোদ WHO-এর কথায় জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেখতে দেখতে মার্চ মাস থেকে প্রায় ছয়টা মাস কাটিয়ে ফেলেছি আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করে। সেইসঙ্গে খবর এসেছে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির। ডাক্তার গবেষকদের প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ তথা বিশ্ববাসী। তবে এমন পরিস্থিতিতে করোনা যে সহজে হাল ছাড়তে রাজি নয়, সে কথাও কিন্তু অগ্রাহ্য করা যায় না।

সে কথার প্রমাণ দিয়ে বিশ্বজুড়ে এখনো নিজের ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সকলের মত, এই ভ্যাকসিন ছাড়া এর থেকে মুক্তির উপায় নেই। তাই অগত্যা সে দিকেই চোখ ফেলে বসে আছে সাধারণ মানুষ। তবে ইতিমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটে তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে হয়তো সামনের বছর প্রথমদিকেই সাধারণ মানুষের কাছে চলে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে নিয়ে কোন সঠিক কথা জানা যায়নি।

তাই আপাতত হুয়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। তবে সম্প্রতি ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো শোনাতে দেখা গেছে হু এর ডিরেক্টরকে। তাঁর কথায় চলতি বছরের শেষের দিকেই হয়ত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে। বস্তুত অতিমারী সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ বোর্ডের সঙ্গে দু’দিন ব্যাপী বৈঠক শেষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই সংক্রান্ত কোনও অন্য ব্যাখ্যা সংস্থার প্রধানের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে হুয়ের তত্ত্বাবধানে ন’টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তারা ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রায় ২০০ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলেই জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় গোটা বিশ্বেই এই ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে সংস্থার তরফ থেকে। বর্তমান পরিস্থিতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখনও পর্যন্ত করোনায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

তাই WHO-এর মতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে, যা কিনা সত্যিই ভয়াবহ। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় কি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এর বিরুদ্ধে বিশ্বের সব দেশকে একযোগে লড়াই করতে হবে। তবেই সাফল্য মিলবে। কিন্তু এখনও অনেক দেশ এই সংক্রমণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মৃত্যুর হার দ্বিগুণ হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে অনেক মানুষের মধ্যে সংক্রমনের লক্ষণ না দেখা যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই আশঙ্কাই প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের মতে, ১০ লক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা খারাপ অবস্থারই পরিচয় দেয়। কিন্তু ভবিষ্যতে আরও ১০ লক্ষ মৃত্যুর আগে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আর সবাই একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করলেই একমাত্র এই মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে। আর যদি এখন একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে যে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে চলেছে, সেই কথা কেউ ভাবতেও পারবে না।

দেখা যাবে আক্রান্ত হোক বা মৃতের সংখ্যা দুটোই কল্পনার বাইরে চলে যাবে। যেখানে বিগত ৯ মাসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সেখানে আগামী ৯ মাসে যদি ভ্যাকসিন না আসে, তাহলে পরিস্থিতি যে জটিল হবে সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তার আগেই আমাদের সতর্ক হতেই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। একজোট হয়ে লড়তে হবে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!