এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভ্যাকসিন নিয়েও কি রাজনৈতিক দ্বৈরথ? মমতা- শুভেন্দুর পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা!

ভ্যাকসিন নিয়েও কি রাজনৈতিক দ্বৈরথ? মমতা- শুভেন্দুর পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে সচেষ্ট শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে শাসক বনাম বিরোধীদের মধ্যে তরজার শেষ নেই। মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দড়ি টানাটানি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রতিনিধিরা উদ্বুদ্ধ করলেও, তারা কেন নিজেরা করোনা ভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন না, এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বস্তুত, বাংলার প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেই এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেননি।

স্বাভাবিক ভাবেই মাঠে-ময়দানে যারা প্রতিমুহূর্তে থাকেন, তারা কেন নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এই টিকা নিচ্ছেন না, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কেউই অতিমারিকে আটকাতে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।

অনেকে বলছেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা ভাইরাস আটকাতে তিনি সবসময় সাংবাদিক বৈঠক করছেন। মানুষের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সেক্ষেত্রে তার উচিত করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে রাজ্যবাসীকে উদ্বুদ্ধ করা। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত সেই টিকা গ্রহণ করেননি। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, যেদিন রাজ্যের সমস্ত মানুষ টিকা গ্রহণ করবেন, সেদিন তিনি করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ রাজ্যবাসীর স্বার্থে তিনি যে নিয়োজিত প্রাণ, তা এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করলেও, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলা বাহুল্য, প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাকে। ফলে তিনি এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেছেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে বিপুল বয়স হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন করোনা ভাইরাসের টিকা এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেননি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সেটাও অনেকের কাছে প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনিও এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, হয়ত বা নিজেদের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি এই সমস্ত নেতা নেত্রীরা। তবে সাধারন মানুষকে যারা প্রতি সময় উদ্বুদ্ধ করছেন, তাদের আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে মানুষকে আরও বেশি করে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো উচিত বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বা অনেকে আবার মানুষের প্রতি তারা নিবেদিতপ্রাণ, এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এইরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।

তবে জনপ্রতিনিধি হোক বা হেভিওয়েট নেতা নেত্রী, তারাও সাধারণ মানুষের মধ্যেই পড়েন। ফলে দ্রুত তারাও যদি ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্ত হন, তাহলে ধীরে ধীরে ভ্যাকসিন দেওয়ার সংখ্যাটা কিছুটা হলেও বাড়বে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে অনেকে আবার বলছেন, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ না করার পেছনে রাজনৈতিক কারণে থাকতে পারে। সব মিলিয়ে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!