প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবছর মার্চ মাসের শেষে বিশ্বজুড়ে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস। সেই সময় বিশ্ববাসীর কাছে একদিকে যেমন ছিল না ভাইরাস সম্পর্কে কোন সচেতনতা, তেমনই তার থেকে বাঁচার উপায় জানা ছিলনা। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর গবেষণায় ভাইরাস সম্পর্কে জানা গিয়েছিল নানা রকম তথ্য। সেখানে ধীরে ধীরে এত মাস ধরে ভাইরাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছে বিশ্ববাসী।

বস্তুত, এর আগেও পৃথিবীতে মহামারীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ, সেই নিয়েও আলোচনা করতে শোনা গিয়েছিল বিজ্ঞানীদের। তবে নতুন বছরের গোড়ায় ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সুসংবাদ শোনা গেছে। যদিও লকডাউনের পর পরিস্থিতিকে নিউ নরমালে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে এরই মাঝে আবারও করোনার নতুন স্ট্রেন মাথাচাড়া দিয়েছে।

যা নিয়ে আবারও পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। সেই সঙ্গে ভারতবর্ষও এর প্রকোপ থেকে মুক্তি পায়নি। তবে সেখানে ভ্যাকসিন আসবে এমনটাই ভরসা রেখেছেন সাধারণ মানুষ। তবে এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে খোদ বিজ্ঞানীকে।

বস্তুত, মার্কিন সংস্থা ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল দাবি করেছে যে তাদের ভ্যাকসিন করোনাকে রুখতে ৯০ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালে সাফল্য এলে তা পৃথিবীর সব থেকে জটিল রোগ সরিয়ে দিতে পারে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। আর সেখানে এই ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যালেরই প্রাক্তন প্রধান ড. ইয়োডেন এমন বিস্ময়কর দাবি করেছেন বলে জানা গেছে।

তাঁর কথায়, ভ্যাকসিন নিয়ে এমন করতে তিনি আগে কখনো দেখেননি। ভ্যাকসিন না পেলে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে, এমনটা মনে করারও কিছু নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এখন করোনা মহামারী শেষের দিকে। এই সময় ভ্যাকসিনের কোনও প্রয়োজন আর নেই। সেখানে যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম, তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে আরও লাভ নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি।

সেখানে যারা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন তাদের টীকাকরণ আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেখানে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে সুস্থ মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ফলে সর্বোতভাবেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেছেন বলেই জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ড. ইয়োডেন এলার্জি ও শ্বাসযন্ত্রের একাধিক রোগের বিষয়ে গবেষণা করেছেন।