এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার গেরোয় কাঠগড়ায় ফাইজারের ভ্যাকসিন!

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার গেরোয় কাঠগড়ায় ফাইজারের ভ্যাকসিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভ্যাকসিন নিয়ে সাধারণের মধ্যে আশঙ্কা ছিল বরাবর। যদিও মানুষের এই ভয়কে দূর করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। সেখানে কাল থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর তরফে সেখানে বলা হয়েছিল ভ্যাকসিন নিয়ে অহেতুক চিন্তাভাবনা না করতে। সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়েও দ্বিতীয় দফা টিকাকরণের ওপর জোর দিতে দেখা যায় তাঁকে।

অন্যদিকে, ভারত বায়োটেকের ‘কোভাক্সিন’ এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনগুলির ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেও জানান হয়। সেখানে কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে কিছুটা হালকা জ্বর, ইনজেকশন দেওয়ার স্থানে ব্যথা, মাথাব্যথা, অবসাদ, পাইরেক্সিয়া, সর্দি এবং আর্থ্রালজিয়া এবং বমি বমিভাব প্রভৃতি এবং সেইসঙ্গে কোভাক্সিনের ক্ষেত্রেও ইনজেকশন দেওয়া স্থানে ব্যথা, মাথাব্যথা, অবসন্নতা, জ্বর, গায়ে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, কাঁপুনি, ঘাম, সর্দি, কাশি হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল।

যদিও প্রথম দিনের টিকাকরণের পর রাজ্যে ১৪ জনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলে জানান হয়েছে। তবে এগুলি বিশেষ গুরুতর নয় বলেই জানা গেছে। এছাড়া বায়োটেকের তরফেও জানানো হয়েছে যে ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই দায়ভার গ্রহণ করবে স্বয়ং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি। তবে এরই মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন নরওয়ের মানুষ। ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আপাতত ২৯ জনের মৃৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানে অনুমান করা হচ্ছে যে প্রত্যেকেরই করোনা টিকা নেওয়ার পর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে প্রথমে জানানো হয়েছিল করোনা টিকা নেওয়ার পর নরওয়েতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেখানে পরবর্তীতে মৃতের সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী বলেই জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে যে ১৩ জনের ময়নাতদন্ত হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেরই বয়স কমপক্ষে ৮০।

তাই অত্যধিক বার্ধক্যের কারণেই এমনটা হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। ফলত নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির তরফে দুর্বল বয়স্ক মানুষদের শরীরেই এই ভ্যাকসিনের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই অতীত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপাতত ৮০ বছরের উর্ধ্বে অসুস্থ মানুষদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে সেই ধারণা যে ভুলও হতে পারে, এমনটাও অনুমান করা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

কারণ প্রথম ২৩ জনের পর যে আরও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়, সেখানে ৮০ বছরের কম বয়স্ক মানুষও ছিল। তবে সেক্ষেত্রে যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেরই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান হয়েছে। আর যেহেতু নরওয়েতে আপাতত ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হচ্ছে তাই সমস্ত অভিযোগই উঠেছে এই টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। যদিও টিকাকরন স্থগিত রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!