এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভ্যাকসিনের তীব্র অভাবের মধ্যে সামনে এলো ভ্যাকসিনের হিসেবে গরমিলের বিস্ফোরক অভিযোগ

ভ্যাকসিনের তীব্র অভাবের মধ্যে সামনে এলো ভ্যাকসিনের হিসেবে গরমিলের বিস্ফোরক অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে তীব্র হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিনের অভাব। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের প্রচণ্ড অভাব চলছে। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে অনেক সময় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকাকরণ। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের হিসেবে গরমিলের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এল। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ২ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ কোভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এক গোপন রিপোর্টে জানা যাচ্ছে যে, অন্তত ৬ কোটি ডোজ কোভ্যাকসিন উৎপাদন হওয়ার কথা। বাকি কোভ্যাকসিন কোথায় গেল? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।

গত মাসে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, গত মার্চ মাসে দেড় কোটি কোভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে ২ কোটি ডোজ কোভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে, এ মাসে তাদের ৩ কোটি কোভ্যাকসিন এর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিপূর্বে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, প্রতিমাসে দু’কোটি কোভ্যাকসিন তৈরি করবে ভারত বায়োটেক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ, এ মাসে তিন কোটি কোভ্যাকসিন উৎপাদন করতে না পারলেও, এমাসে অন্তত দু’কোটি কোভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়েছে। তাই, সব মিলিয়ে মোট সাড়ে ৫ কোটি কোভ্যাকসিন উৎপাদন করার কথা। আবার গত ৫ ই জানুয়ারি ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তাদের হাতে ২ কোটি ভ্যাকসিন মজুত করে রাখা আছে। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে ভারত বায়োটেকের অন্তত সাড়ে সাত কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করার কথা।

প্রসঙ্গত, একাধিক দেশে কোভিসিল্ড কয়েক কোটি ডোজ রপ্তানি করা হলেও, খুব একটা বেশি রপ্তানি করা হয়নি কোভ্যাকসিন। খুব বেশি হলে বিদেশে যাবার কথা ২ কোটি ডোজ কোভ্যাকসিন। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে সামান্য হলেও, এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ভ্যাকসিন ভারত বায়োটেকে উৎপাদন হবার কথা। গতকাল পর্যন্ত যদি ২ কোটি কোভ্যাকসিন ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে, আরও প্রায় ৪ কোটি কোভ্যাকসিন থাকার কথা ভারত বায়োটেকের কাছে।

কিন্তু এই ভ্যাকসিন কোথায় গেল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। দেশে ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অভাবের সময়ে ভ্যাকসিনের হিসাবের এই বিরাট গরমিল, নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই ৪ কোটি কোভ্যাকসিন যদি ভারত বায়োটেক দেশের হাতে তুলে দিতে পারতো, তবে কিছুটা হলেও ভ্যাকসিনের অভাব মিটতো, তা অস্বীকার করা যায় না। এদিকে দেশে ভ্যাকসিনের অভাব মেটাতে আরো কিছু দেশীয় সংস্থাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে ভারত বায়োটেকের ভাকসিনের হিসেবে গড়মিল, নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!