এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভাইপো ধর্না দিলে দোষ নেই, শুভেন্দুর প্রতিবাদেই জ্বালা! চরম ফাঁদে পড়লেন মমতা!

ভাইপো ধর্না দিলে দোষ নেই, শুভেন্দুর প্রতিবাদেই জ্বালা! চরম ফাঁদে পড়লেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেখানেই প্রতিবাদ করতে যাবেন, সেখানেই বাধা দেবে পুলিশ। বর্তমানে রাজভবনের সামনে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বসতে চাইলেও, পুলিশের পক্ষ থেকে তাতে বারণ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। পুলিশের যুক্তি যে, বর্তমানে নাকি সেখানে ১৪৪ ধারা রয়েছে। আর এখানেই বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন যে, কিছুদিন আগে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে বসে ধর্না করছিলেন, তখন কি সেই ১৪৪ ধারা ছিল না? কেন তখন তাকে অনুমতি দিল প্রশাসন! আর এই পরিস্থিতিতে আজ নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই বিষয়টি উত্থাপন করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজেই নিজের জালে ধরা পড়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নে হকার উচ্ছেদ নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিরোধীদের তরফে যখন রাজভবনের সামনে প্রতিবাদে ধর্নায় বসা হবে, তখন কেন পুলিশ বাধা দিচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অভিষেকরা যখন রাজভবনের নর্থ গেটে ধর্নায় বসে, সেখানে ১৪৪ ধারা ছিল না। আজ যারা সেই ইস্যু তুলে রাজনীতি করতে চাইছেন, তারা জেনে রাখুন, আমরা যা করছি ওদেরও তাই করতে হবে। দিল্লিতে বসতে দেয়? সংসদে স্পিকার নির্বাচনে ভোট পর্যন্ত দিতে দেয় না।” আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন যে, যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া যায় যে, দিল্লির পুলিশ প্রতিহিংসার আচরণ করছে, তাহলে কি সেই খারাপ বিষয়টাকেই হাতিয়ার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

তিনি তো সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি তো বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার আগে তার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। তাহলে কেন এখন বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেখানে বিরোধীরা প্রতিবাদ করবে, সেখানেই আগেভাগেই পুলিশের পক্ষ থেকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১৪৪ ধারা? আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের ভয় পাচ্ছেন। আর তিনি এদিন যে কথা বললেন, তাতে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে চরমভাবে বিশ্বাসী। আসলে এসব করে নিজেই নিজের ফাঁদে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!