তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্ধের জেরে ভাঙচুর পুরভবনে, এলাকায় চূড়ান্ত উত্তেজনা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য July 2, 2018 পঞ্চায়েত পর্বের তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলের নজিরের ফের দেখা মিলল হালিশহর পুরসভায়। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল পুরসভা চত্বরে গন্ডেগোল করার জন্যে। এদিন তাঁরা দলবল নিয়ে গিয়ে পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি দিয়ে এসেছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি অফিসের চেয়ার টেবিল উল্টে পাল্টে রেখে আসা হয়, এমনকি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও লন্ডভন্ড করে আসেন তাঁরা। এমনটাই অভিযোগে জানান পুরুসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেলেন তিনি এদিন এবং জানান এই ঘটনার জেরে পুরসভার কর্মীরাও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগও গিয়ে পৌছেচ তাঁদের তরফ থেকে। পুলিশ তদন্ত কর্মসূচি শুরু করেছেন বলেও জানা যায় তার সূত্র থেকে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এই ঘটনার জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরো জানান যে, আসলে পুরসভা, নিকাশি নর্মদার কাজ করছে বর্তমানে। আর টেন্ডার পাশ করিয়েই এই কাজ করছে। এখনো পর্যন্ত কোনো দুর্নীতিও দেখা যায়নি। আর যদি দুর্নীতি নিয়ে কোনো অভিযোগ থেকেও থাকে কাউন্সিলর দের তাহলে তাকে ভদ্রভাবে জানালেই তো হতো, তামাশা করার তো কোনো দরকারই ছিল না। সেসময় তিনি অফিসেই ছিলেন। অথচ অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে না এসে, কাউন্সিলররা সোজা গিয়ে হাজির হন ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে। তাঁকে অযথা হেনস্থা করেন। আর সেদিন কাউন্সিলরদের সঙ্গে ছিল কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতিরা। সেই ভিডিও ক্লিপও তাঁদের কাছে আছে প্রমান স্বরূপ। এসব প্রমাণ পুলিশেরর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বদের মাধ্যমে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে পুরসভা সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, হালিশহর পুরবিভাগের নেতৃত্বে পুরসভা এলাকায় ১২৫ কোটি টাকা খরচ করে নর্দমা তৈরির কাজ চলছে, এছাড়াও জলনিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে খরচ করা হচ্ছে ২৭৫ কোটি টাকা। এই কর্মসূচির বাস্তবায়নে নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহার হচ্ছে এ অভিযোগ নিয়েই এদিন হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রনব লৌহ, অন্য তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার সহ ৮০ জন জন পুরসভায় হাজির হন। প্রণববাবু অভিযোগের সরব হয়ে জানান যে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। তাই তিনি জোর করে কাজও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বোর্ড মিটিং-এও তিনি এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। নিকাশির কাজ, নর্দমার কাজের জন্য তৈরি পিচের রাস্তার হাল মাটির রাস্তার মতোই। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল। তাঁদের সেই অভিযোগকেই পুরসভার দরবারে জানাতেই তাঁরা সেখানে গেছিলেন। তবে কোনো তান্ডব তাঁরা করেননি বলেও জানান তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার জানান যে, প্রথম থেকেই তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। এতটা নির্বোধ তাঁরা নন যে, তৃণমূল নেতৃত্বের আওতায় থাকা পুরসভায় গিয়ে আমরা গন্ডোগোল পাকাবেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতেই গিয়েছিলেন সেদিন তাঁরা। কিন্তু, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা সঙ্গে দেখা করা যায়নি। আর তিনি এটাও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে, সেদিন যদি তাঁরা সত্যি সত্যিই তাণ্ডব চালান তাহলে তার ফুটেজ সিসিটিভি ক্যামেরায় অবশ্যই থাকবে এবং তাঁরা যদি সত্যিই অন্যায় করে থাকেন তাহলে তার যথাযোগ্য শাস্তি তাঁরা মাথা পেতে নেবেন। আপনার মতামত জানান -