এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভাঙ্গনের জন্য বড় ব্যর্থতা সামনে আনলেন দিলীপ, সভাপতির মন্তব্যে চাপে বিজেপি!

ভাঙ্গনের জন্য বড় ব্যর্থতা সামনে আনলেন দিলীপ, সভাপতির মন্তব্যে চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে বেসুরো নেতা-নেত্রীদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেকে এই তালিকায় যুক্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

কেন নেতারা ভাঙ্গন আটকাতে পারছেন না, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে বড় কারণ সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর সেই কারণেই সকলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন বলে দাবি করতে দেখা গেল তাকে।

স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই বিজেপির দিকেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন কেন্দ্রীয় সরকারে থেকেও বিজেপি রাজ্যের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না? এক্ষেত্রে কি তাদের ব্যর্থতা নয়! এখন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দলের অনেকে। একাংশ বলছেন, যদি দিলীপ ঘোষ সমস্ত কিছু জেনেই থাকবেন, তাহলে তিনি কেন এই ভাঙ্গন আটকাতে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? কেন কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে যারা প্রতিমুহূর্তে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই সমস্ত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না দল!

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে ব্যর্থতা স্বীকার করে নেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। কেন এত ভাঙ্গন হচ্ছে? এদিন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সরকার যদি অত্যাচার করে মানুষ কোথায় যাবে? কর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট লুট হচ্ছে। তার পরিণাম হিসেবে অনেকে দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আমাদের বলেই দল ছাড়ছে। আমরা তো জোর করতে পারি না। কারন আমরাও নিরাপত্তা দিতে পারছি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন, বর্তমানে বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে এত ভাঙ্গন হওয়া সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করে যারা দলবদলের চেষ্টা করছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না রাজ্য বিজেপি? তাহলে তারা কিভাবে তাদের ভাঙ্গন আটকাবে! এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা মহলে। সমস্ত কিছু জেনেও যদি রাজ্য বিজেপির সভাপতি এরকম মন্তব্য করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ভাঙ্গন আরও জোরালো হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই হিংসার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীরা ঘরছাড়া রয়েছেন।

আর এবার নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণেই সন্ত্রাসের কবলে পড়া নেতা-কর্মীরা দলত্যাগ করছেন বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার ফলে দিলীপবাবু পরোক্ষভাবে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!