এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবহাওয়া > ভারী বৃষ্টিতে জলপ্লাবিত উত্তরবঙ্গ! ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা – জানুন বিস্তারিত

ভারী বৃষ্টিতে জলপ্লাবিত উত্তরবঙ্গ! ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা – জানুন বিস্তারিত


ব্যাপক বৃষ্টিতে ভাসতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি প্রায় সর্বত্রই কোথাও মুষলধারে আবার কোথাও একনাগারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। যার ফলে নিচু এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যায়।

ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা সুখানি নদীতে হড়পা বানে নাগরাকাটার মনমোহনধুরায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানা যায়, ভোররাত থেকেই ভাঙা সুখানি সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমি অক্ষরেখা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে সরে আসায় এমন বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর টানা চারদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের জল সমতলে নেমে এসেছে। যার জন্য তিস্তা, মহানন্দা, বালাসন সহ অন্যান্য পাহাড়ি নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “দুই-তিন ধরে মৌসুমি অক্ষরেখা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে সরে এসেছে। তাই বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে অনেটকটাই বেড়ে গিয়ে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণও হয়েছে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।” এদিকে একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন সুখানি বস্তির বাসিন্দারা। তাদের অনেকে বলেন, “ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলেই আমাদের আতঙ্ক বাড়ে। রাতের অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুখানি সেতুটিও বছর খানেক আগে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন এই প্রসঙ্গে নাগরাকাটার বিডিও স্মৃতা সুব্বা বলেন, “এলাকায় এদিন হড়পা বানে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুখানি সেতু তৈরি করার জন্য আমরা জেলায় প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলেই নতুন সেতু তৈরি করা হবে।” অন্যদিকে ওদলাবাড়ির বাসিন্দাদের মতে, রমতি নদীর জলস্ফীতিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে ভোর থেকে জল বইতে থাকে। এরপরেও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন দিনভর চলেছে। রাস্তাটি উঁচু করা না হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু এর ফলে গ্রামবাসীদের কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই তো! এই বিষয়ে পূর্তদপ্তরের মালবাজারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, “ওই রাস্তাটি কালভার্ট দিয়ে উঁচু করে যাতে তৈরি করা হয় সেজন্য আমরা ওপর মহলে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের চার জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়। জলপাইগুড়িতে বেলা ১২ টার পর থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারেও একইভাবে বৃষ্টি হতে শুরু করে। আর এই প্রবল বৃষ্টির জেরে বিশ্বকর্মাপুজোর বাজারে প্রভাব পড়ে। রাস্তার ধারে প্রতিমা নিয়ে বসা বিক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েন। তবে বৃষ্টির জেরে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল ঘিস নদী। কেননা এই নদীর দুপাশের নিচু এলাকায় কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও বুক পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে ভারী বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কায় ভীত হতে শুরু করেছেন সেখানকার মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!