প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত জয়লাভ করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এর পর থেকেই চলছে দলে ভাঙ্গন। একের পর এক নেতাকর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়েছেন মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়র মত হেভিওয়েটরা। এবার এই তালিকায় যুক্ত হতে পারেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। তাঁকে নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে দলে তাঁর নিষ্ক্রিয়তাকে নিয়ে। দলের সর্বত্রই যেন নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বা সময়ে যে সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে, তা যেন একেবারে উধাও হয়ে গেছে। রাজ্য বিজেপির সম্পাদক হওয়ার পরেও তাঁর মধ্যে সক্রিয়তা নেই। এমনকি সল্টলেকের পুজোর দায়িত্ব নিয়েও সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আবার খড়দহতে উপনির্বাচনের ইনচার্জ তিনি, তবে সেখানেও তেমন সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। যা থেকে বাড়তে শুরু করেছে নানা জল্পনা।

মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। মুকুল রায়ের নেতৃত্বেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। এবার মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায়, তাঁরও তৃণমূলে ফেরার জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরে একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও তিনি কোন সবুজ সঙ্কেত পাননি। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবির ছাড়ার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি। তবে, এখনও তৃণমূল তাঁকে কোন সবুজ সঙ্কেত দেয় নি।

জানা যাচ্ছে, তাঁকে দলে নিতে সবচেয়ে বেশি আপত্তি রয়েছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর। এছাড়া তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তার তেমন বনিবনা ছিল না। তবে, বিজেপিতে তিনি যেভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠেছেন, তাতে যে কোনো সময় তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়ছেই। একের পর এক কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে।