এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নেই পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর, রিপোর্ট পেতে চার-পাঁচদিন, দীর্ঘক্ষণ পরে মৃতদেহ! বাঙ্গুর নিয়ে অভিযোগের ঝড়

নেই পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর, রিপোর্ট পেতে চার-পাঁচদিন, দীর্ঘক্ষণ পরে মৃতদেহ! বাঙ্গুর নিয়ে অভিযোগের ঝড়


করোনা মোকাবিলায় যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যারা স্পর্শকাতর’ জায়গাগুলো পরিদর্শন করতে শুরু করেছে। আর এবার সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের চিঠিতে বাঙ্গুর হাসপাতাল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল রাজ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দুটি চিঠি দিয়েছেন‌।

যেখানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ ধরা পড়েছে চিঠির ছত্রে ছত্রে। জানা গেছে, চিঠিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান বাঙ্গুর হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন। যার ফলে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা ক্রমশ বাড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কি রয়েছে সেই চিঠিতে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে যে, বাঙ্গুর হাসপাতালে 354 জন আক্রান্ত রয়েছেন। কিন্তু সেখানে রয়েছে মোট বারোটি ভেন্টিলেটার। অর্থাৎ পরিকাঠামোর অভাব যে সেই হাসপাতালে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শুধু তাই নয়, বাঙ্গুর হাসপাতালে মৃতদেহ পড়ে থাকলেও, কেন তা মর্গে পাঠাতে দেরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে রাজ্যকে।বস্তুত, কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙ্গুর হাসপাতালের একটি বেডে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।

এদিন সেই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্যকে এমন প্রশ্ন করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বলে মনে করা হচ্ছে। আর এবার হাসপাতালে পরিকাঠামো নিয়ে যেভাবে রাজ্য সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, এখন রাজ্য তার কি উত্তর দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম দিকে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। যদিও বা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সাহায্য করতে হবে। যার পরে কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে কেন্দ্রীয় দলকে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়ে দেয় রাজ্য। আর এবার সেই প্রতিনিধি দলের তরফে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের পরিকাঠামো নিয়ে যেভাবে মুখ্যসচিবকে প্রশ্ন করা হল, তাতে রাজ্য প্রবল চাপে পড়ল বলেই মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!