বিজেপির পাশাপাশি বাংলায় এবার বড়সড় সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কলকাতা রাজ্য September 7, 2019 সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ভালো ফলাফল করার পরই রাজ্যে নিজেদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দেয় গেরুয়া শিবির। যার ফলে বঙ্গে ভালো সাফল্যও পায় তারা। আর এবার বিজেপির কায়দায় এরাজ্যে নিজেদের সদস্য সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে চাইছে আরেক গেরুয়া শিবির বলে পরিচিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা গেছে, হিতচিন্তক অভিযান শুরু করতে চলেছে তারা। যার মূল লক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে মোট দুই লক্ষ নতুন সদস্য তৈরি করা। সূত্রের খবর, 17 নভেম্বর থেকে 1 ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান রাজ্যের গ্রামগুলোতে চলবে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অখিল ভারতীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ এবং পশ্চিমবঙ্গ মিডিয়া ইন চার্জ সৌরিষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দক্ষিণবঙ্গে দেড় লক্ষ এবং উত্তরবঙ্গে ৫০ হাজার সদস্য তৈরি করা হবে।” বস্তুত, প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই হিতচিন্তক অভিযান হয়। বর্তমানে এই সংগঠনের বাংলায় প্রায় ৪০ হাজার সদস্য রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অসমে এনআরসির পর বাংলায় এই এনআরসি নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে। যেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গের পরিস্থিতিও অসমের থেকে কিছু আলাদা নয়। পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসির প্রয়োজন আছে। আর এবার সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে সেই বার্তাই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে পরিষদের শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নাগরিকত্ব বিল, ২০১৬ সমর্থন করেননি।’ তিনি আরও বলে, ‘নাগরিকত্ব আইন পাশ করতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই আইন তৈরি হলে এনআরসি নিয়ে কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকত না, কিন্তু এখন তা হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু তোষণ অনেকটাই বেড়েছে। সীমান্ত এলাকায় ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে হিন্দুরা। তবে প্রশাসন সম্পূর্ণ নির্বিকার। তবে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছে এই কথা তুলে ধরে কলকারার গ্রেটার কলকাতা কিলিংয়ের স্মৃতিকে কিছুটা উস্কে দিয়েছে এই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আপনার মতামত জানান -