এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভিন রাজ্যে নারদ মামলা স্থানান্তর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের, জেনে নিন

ভিন রাজ্যে নারদ মামলা স্থানান্তর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ইতিমধ্যেই নারদ কান্ডে মামলায় বহু জল গড়িয়েছে। চার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইলেও, শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জামিন পেয়ে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়রা‌। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কোনোমতেই মামলা থেকে পিছু হটতে চাইছে না সিবিআই।

বলা বাহুল্য, নারদ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করা নিয়ে তাদের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয়, তার দিকে নজর ছিল সকলের। যদি এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হয়ে যায়, তাহলে জামিনে মুক্ত হওয়া রাজ্যের চার হেভিওয়েট আবার ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বেন বলেই মনে করেছিলেন একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে সকলের নজর ছিল সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দিকে। তবে এ যেন অনেকটা ছোট গল্পের মত। অর্থাৎ শেষ হয়েও হইল না শেষ। সোমবার এই ব্যাপারে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রায় দেওয়া হবে বলে মনে করা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। যেখানে আগামী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে 11 টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর নিয়ে শুনানি শুরু হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যাতে বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলা না শোনা হয়, তার জন্য আবেদন জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এক্ষেত্রে তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। যার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ তৈরি হয়। আর এর পরেই বৃহত্তর বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যখন মামলাটি তাদের কাছে এসেছে, তখন তারা এই বিষয়ে সব পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আর এরপরই নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহেতা। আবেদনকারী হিসেবে তাদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হোক বলে দাবি করেন তিনি। আর এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহেতার উদ্দেশ্যে বার্তা দেন বিচারপতি। এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যে সমস্ত আবেদন পেশ করা হচ্ছে, তা ঠিকমত আসেনি বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “আপনার আবেদনগুলো আপনি জমা দিচ্ছেন‌। কিন্তু তা ঠিকঠাকভাবে আসছে না। যা দেখে মনে হচ্ছে, এটা একটা শিশু, যে দিনকে দিন বেড়ে উঠছে।” স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের যুক্তি, আর অন্যদিকে ঠিকমতো তথ্য না আসার কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবিকে বিচারপতির এই বার্তায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপরে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সঠিক নথি আসার পরই যে এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে, সেই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে শুনানির দিন হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ধার্য করা হলো বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই এর আগে নারদ কান্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিন পাওয়া নিয়ে যেরকম দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছিল, সেক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে এই মামলা যাবে কিনা, তা নিয়েও ব্যাপক জটিলতা তৈরি হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, নারদ কান্ডে যখন রাজ্যের চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারপরই প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। যেখানে চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতারের পরই সরাসরি সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি সিবিআই দপ্তরের বাইরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।

আর তারপরই এমত পরিস্থিতিতে এই রাজ্যে মামলা পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে তা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের শক্তি দিয়ে তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এবার অন্য রাজ্যে মামলা নিয়ে যাওয়ার জন্য সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয়, তার দিকে নজর ছিল সকলের। তবে সোমবার এই ব্যাপারে গোটা বিষয়টি অধরা হয়েই রইল। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে 11 টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্বে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি নির্দেশ আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!