এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভিন রাজ্যে নারদ মামলা? তৃনমূলের চাপ বাড়তেই বড় প্রশ্ন আদালতে!

ভিন রাজ্যে নারদ মামলা? তৃনমূলের চাপ বাড়তেই বড় প্রশ্ন আদালতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের হেনস্থা করা থেকে শুরু করে গ্রেফতার করার ঘটনায় বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সম্প্রতি তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই গত 17 মে নারদকান্ডে সক্রিয়তা অবলম্বন করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

যেখানে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তারপরই রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিজেপি বাংলা দখল করতে না পেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে। এমনকি বেনজির ভাবে নিজের তাদের গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ করে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ জানিয়ে সিবিআই দপ্তরের বাইরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। আর এরপর থেকেই এই গোটা ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের চার হেভিওয়েট জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু অন্য রাজ্যে এই মামলা সরানো হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টে শুনানি চলছে।

আর সেই শুনানিতেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অন্য রাজ্যে মামলা সরানো নিয়ে আবেদন করা হলেও, তার পরিপ্রেক্ষিতে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। যেখানে অতীতের বিভিন্ন মামলার ঘটনার কথা তুলে ধরে অন্য রাজ্যে এই মামলা সরানোর কোনো যুক্তি নেই বলে হাইকোর্টে তথ্য পেশ করতে দেখা গেল এই দুদে আইনজীবীকে।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সিবিআইয়ের এই আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। যেখানে গত 17 মের ঘটনা তুলে ধরে ভার্চুয়াল শুনানির সময় কেন সিবিআই গ্রেপ্তার হওয়ার দিনে নানা বিক্ষোভের কথা তুলে ধরেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সিদ্ধার্থবাবু। এদিকে এই ঘটনার পরেই আদালতের পক্ষ থেকে সিদ্ধার্থবাবুর কাছে মুখ্যমন্ত্রী প্রভাব সৃষ্টি করেছেন কেন, এই প্রশ্ন করা হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, “কারও পক্ষ থেকে কোনো চাপ তৈরি করা হয়নি।”

অর্থাৎ সিবিআই এখন যেনতেন প্রকারেণ অন্য রাজ্যে এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেই চেষ্টাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করতে পাল্টা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের চার হেভিওয়েটের আইনজীবী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, এই নারদ কান্ডে অন্য রাজ্যে মামলা নিয়ে গিয়ে সেখানে চার হেভিওয়েটের ওপর অত্যাচার চালাতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেননা অতীতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাপস পালের ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে মামলা পরিচালনা করতে দেখা গেছে সিবিআইকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেরকম ভাবেই তারা এক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল একাংশ। সেই মত করে চার হেভিওয়েট জামিনে মুক্তি পেতেই অন্য রাজ্যে মামলা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে সিবিআইয়ের সেই যুক্তিকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে বেশ কিছু ঘটনার কথা তুলে ধরে বিক্ষোভের অভিযোগ যে সত্যিই অমূলক, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন চার হেভিওয়েটের আইনজীবী।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বেশ সচেতন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে শোভন চট্টোপাধ্যায়। শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে তাদের। তাই আর কোনো রকম ভুল করতে চান না তারা। কিন্তু বর্তমানে অন্য রাজ্যে যদি এই মামলা সরানোর ক্ষেত্রে সিবিআই সাফল্য পায়, তাহলে তাদের অস্বস্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

পাশাপাশি চাপ বাড়বে রাজ্যের শাসকদলের। তাই নিজস্ব যুক্তির অবতারণা করে এই গোটা ব্যাপারটিকে সামাল দিতে চাইছেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। তবে শেষ পর্যন্ত এক্ষেত্রে নিজস্ব যুক্তি দিয়ে সিবিআইয়ের অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া মামলার আবেদনকে কতটা ভিত্তিহীন প্রমাণ করে দিতে পারেন হেভিওয়েট এই আইনজীবী, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!