এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন কিনা সন্দেহ আছে।” মমতাকে বেনজির তোপ প্রাক্তন সৈনিকের

“ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন কিনা সন্দেহ আছে।” মমতাকে বেনজির তোপ প্রাক্তন সৈনিকের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই তিনি এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে কুপোকাত করে বাংলায় পদ্মফুল ফোটানোর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব রয়েছে তার। বেশ কিছুদিন ধরে কার্যত নীরব থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু আবার নিজের প্রাক্তন দল এবং প্রাক্তন নেত্রী সম্পর্কে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। যেখানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় লাভ নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিতে দেখা গেল তাকে। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে।

সূত্রের খবর, রবিবার রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই উপস্থিত হন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী বিধানসভায় জয়লাভ করা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। মুকুল রায় বলেন, “ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিতবেন কিনা, আমার সন্দেহ আছে। 2011 সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য হেরে গিয়েছিলেন। এখন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে থাকলে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন কিনা, সন্দেহ আছে।”

আর নিজের প্রাক্তন নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর জয়লাভ নিয়ে যেভাবে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন মুকুল রায়, তাতে তার ভবিষ্যৎ বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে বিজেপি ব্যাপকভাবে বাংলায় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বিজেপির তেমন কোনো মুখ নেই বলে অভিযোগ করে তৃনমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে তাদের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করে তারা। সেদিক যদি মুকুল রায়ের এই দাবি সত্যি হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত চাপে পড়ে যাবে। স্বভাবতই নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের এই দাবি এখন শাসক দলের অস্বস্তিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই কর্মীসভায় উপস্থিত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “প্রত্যেক বিজেপি কর্মীদের মনে রাখতে হবে, নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে এবং নিজের বুথকে নিজেই রক্ষা করতে হবে। এই কাজটা করতে পারলেই আমাদের জয় আসবে।” এদিকে তাকে চাণক্য বলা নিয়েও এদিন কিছুটা আপত্তি জানান মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “এই সভায় অনেকে আমাকে চাণক্য বলে অভিহিত করলেন। কিন্তু এভাবে আমাকে চাণক্য বলবেন না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যদি দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পশ্চিমবঙ্গের দু’শোর বেশি আসনে জয়ী করতে পারি, তাহলে আপনাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিয়ে যাব। তখন এসব কথা বলবেন, শুনব। মনে রাখতে হবে, আমাদের দলের নেতা প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। যিনি পৃথিবীর জনপ্রিয়তম নেতা। তাই তাদের নেতৃত্বে আমরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করব। আশাবাদী, আপনারা সকলে যদি নিজেদের বুথ রক্ষা করতে পারেন, তাহলে আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।”

অর্থাৎ একদিকে শাসক পক্ষের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করতে পারবেন না বলেও যেমন প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন মুকুল রায়, ঠিক তেমনই নিজের দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করার ওপর জোর দিলেন তিনি। অর্থাৎ নিজের দলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন যে, বুথের সংগঠনকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়ের এই ধরনের বক্তব্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় নিয়ে তার বিবৃতি কতটা বাস্তব হয়, তা আগামীদিনে ভোটবাক্স খোলার পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!