প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হানাহানি। এবার ভরসন্ধ্যায় রাজনৈতিক হত্যা হয়ে গেল টিটাগড়ে। ব্যারাকপুর বিধানসভার সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁরই অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন টিটাগড়ের বাহুবলী নেতা মনীশ শুক্লা। সেই মনীশ শুক্লাকে ভর সন্ধ্যেবেলা সামনে থেকে পর পর গুলি করে দুষ্কৃতীরা হত্যা করল। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে অর্জুন সিং এই ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা ঘটেছে তার ফল ভুগতে হবে তৃণমূল সরকারকে এবং পুলিশকে। অন্যদিকে জানা গেছে, রবিবার ভর সন্ধ্যেবেলায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে মনীশ শুক্লা বসেছিলেন। সেসময় বাইকে করে কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। মনীশের শরীরে 5 থেকে 6 টি গুলি লাগে। এরপর দ্রুত ওই বিজেপি নেতাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুন সিং এর অভিযোগকে মোটেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি নেতা হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বরাবরের মতো রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও উদ্বিগ্ন হয়ে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন ডিজি ও অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারিকে।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে আজ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে 12 ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, খুন যারাই করুক, এই নিয়ে শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়ে গেছে। আপাতত টিটাগড়ের বিজেপি নেতার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক লড়াই। এই ঘটনার মোড় কোনদিকে নেয়, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সবার।