এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ভরাডুবির পর থেকেই উধাও সভাপতি, দলীয় কাজ নিয়ে সমস্যায় নেতা-কর্মীরা! ব্যাপক চাপে বিজেপি!

ভরাডুবির পর থেকেই উধাও সভাপতি, দলীয় কাজ নিয়ে সমস্যায় নেতা-কর্মীরা! ব্যাপক চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিজেপির কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরের নেতা নেত্রী সকলেই আশা করেছিলেন, এবার দল বাংলার ক্ষমতা দখল করবে। সেই মত করে উপরতলার নেতাদের কথা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন নীচুতলার নেতা-নেত্রীরা। জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ছবি ধরা পড়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি। 200 আসন দখল করবে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হলেও, শেষ পর্যন্ত 77 টি আসন দখল করেই থেমে গিয়েছে বিজেপির বিজয়রথ।

আর এরপর থেকেই সংগঠনের ভঙ্গুর দশা সামনে আসতে শুরু করেছে। একের পর এক নেতা-নেত্রীরা যেমন বেসুরো হতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই অনেক জেলায় সংগঠনের কাজ ঠিকমত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই কার্যত নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ।

ফলাফল প্রকাশের পর সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচি থেকে শুরু করে কার্যালয়, কোথাও দেখা যাচ্ছে না তাকে। যার ফলে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা। কেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি দলে সক্রিয় নয়? যেখানে বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের হুমকির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ, সেখানে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ না থাকায় রীতিমত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের একাংশের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সেভাবে সংগঠনের কোথাও সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে। দলের বিভিন্ন মিটিং হলেও তার অনুপস্থিতি কার্যত চোখে পড়ার মত। আর এই পরিস্থিতিতে দলের একাংশ উষ্মা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

অনেকে বলছেন, তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের চাপে সেভাবে সক্রিয় হতে পারছেন না কৃষ্ণবাবু। আবার অনেকে মুকুল রায় দল পরিবর্তন করার পর সেই কৃষ্ণ ঘোষ দলে সক্রিয় না হওয়ার কারণে, তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও বা এই সমস্ত জল্পনা কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, দলে সক্রিয় আছেন কৃষ্ণ ঘোষ।

কেন সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে না তাকে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির কোষাধ্যক্ষ প্রদীপ কুন্ডু বলেন, “দলবদলের কোনো সম্ভাবনা নেই। জেলা সভাপতি ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। তার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে‌। তৃণমূল মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। হাজিরা না দেওয়ায় ওয়ারেন্ট বের করতে বলে পুলিশ। তাই আপাতত তিনি জেলা কার্যালয়ে আজ আসছেন না। তবে কোথায় আছেন, আমরা কেউ জানি না। নানাজনে নানা কথা বলছে।”

এদিকে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের ফলে যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন, তাদের ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষ্ণবাবু বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অনিল দত্ত। যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গলায়। এক্ষেত্রে বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ দলীয় টাকা নয়ছয় করেছেন। আর সেই কারণে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই কৃষ্ণ ঘোষের দলের সক্রিয় না হওয়ার ঘটনা নিয়ে এখন গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু কবে দলে সঠিক ভাবে সক্রিয় হন কৃষ্ণ ঘোষ, নাকি তার এই নিষ্ক্রিয়তার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!