ভরাডুবির পরেই কটূক্তির শিকার সূর্য, প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা! বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য July 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ 34 বছর রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে রাখার পর নীচুতলার সঙ্গে যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল, তা অনুভব করতে পারেননি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তা ব্যক্তিরা। নিজেদের মতো করে পথ চলা এবং কর্মীদের অভাব-অভিযোগ ও মতামত না নেওয়ার কারণেই যে পশ্চিমবঙ্গের মতো শক্ত ঘাঁটিতে তাদের শূন্য হয়ে যাওয়া, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে সিপিএম নেতাদের কাছে। বহু চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট গঠন করে এবার অনেকটাই ছাপ ফেলা সম্ভব হবে বলে মনে করেছিল সিপিএম। কিন্তু অতীতের থেকেও আরও খারাপ হয়েছে তাদের ফলাফল। যেখানে এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রতিনিধিও পাঠাতে পারেনি বামফ্রন্ট। আর তারপরেই দলের ভেতরে এবং বাইরে বাম নেতাদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আর এবার সংগঠনকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচনী বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যাপক ভরাডুবির পর নেতা-কর্মীদের মতামত শুনতে নীচুতলার সঙ্গে সংযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন ফেসবুক লাইভে আসেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। আর সেখানেই নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত শব্দ ব্যবহার করে যে তাদের ক্ষতি হয়েছে, তা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তাঁর কাছে প্রচুর চিঠি এসেছে এবং সেই চিঠিতে যে ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবং অনেক কটুক্তি শুনতে হয়েছে, সেই কথাও তুলে ধরেন সূর্যবাবু। অর্থাৎ দলের ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধান করতে এসে যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, তা অনেকের কাছেই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন, গত 2019 এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই বামেদের ভরাডুবি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে শুরু করে। যেখানে বামেদের ভোট বিজেপিতে চলে যায় বলে দাবি করেন একাংশ। আর তখন থেকেই সচেতন হওয়া উচিত ছিল বামেদের। কিন্তু তা না করে নিজেদের মতো করে পথ চলা এবং নিচুতলার সঙ্গে সংযোগ না রাখা, 2021-এ এসে তাদের শূন্য করে দিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভরাডুবি হওয়ার পরেই যে ব্যাপক অসন্তোষমূলক চিঠি সূর্যবাবু এবং তার দলের কাছে এসেছে, তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিতে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককে। তাই এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথ মসৃণ করতে সিপিএমের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভ থেকে শুরু করে কর্মীদের মনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা হলেও তা কতটা সফলতা আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -