ভরাডুবির পরই মমতার উপর আস্থা রাজীবের, বাড়ছে জল্পনা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি May 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় রাজ্যের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে বিজেপির টিকিটে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের লড়াই করলেও পরাজিত হতে হয় তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিজেপির ব্যাপক ভরাডুবির পর যারা গেরুয়া শিবিরে ভোটের আগে যোগদান করেছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসার আবেদন করতে শুরু করেছেন। সেদিক থেকে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো আবেদন করেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার একটি পদক্ষেপ তার পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড়। যে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মানুষকে সতর্ক করে রাজ্য প্রশাসনের উপরে সকলকে ভরসা রাখার বার্তা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই বার্তাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। আপনারা কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। ঘরের ভিতরে থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। প্রশাসনের বার্তা এবং ঝড় সংক্রান্ত বার্তার দিকে নজর রাখুন। সবসময় মাস্ক পড়ুন। ঘনঘন সাবান জলে হাত ধুয়ে নিন। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।” আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝড় নিয়ে সচেতনতা বার্তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখার বিষয়টি। যে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপিতে গিয়ে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে, ভোটের পরে দুর্যোগকে কেন্দ্র করে তার এই ধরনের বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হতে চলেছেন? তাই রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখার কথা বলে এইরকম বার্তা দিতে দেখা গেল তাকে? ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। বলা বাহুল্য, দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। যার জেরে মন্ত্রী এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে কোনো লাভ করতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যেমন রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে, ঠিক তেমনই তিনিও তার ডোমজুড় আসন থেকে জয়লাভ করতে পারেননি। আর এই পরিস্থিতিতে হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছে। যারা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন। আর তার মধ্যে দুর্যোগের বিষয়ে সকলকে সচেতন করে রাজ্য প্রশাসনের বার্তার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলে কার্যত গুঞ্জন বাড়িয়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই বার্তা আদতে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ইচ্ছা প্রকাশ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -