এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোরের আলো ফুটতেই খুন তৃণমূল কর্মী! উত্তরবঙ্গে বাড়ছে অশান্তি!

ভোরের আলো ফুটতেই খুন তৃণমূল কর্মী! উত্তরবঙ্গে বাড়ছে অশান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলের পাশাপাশি শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠতে দেখা যাচ্ছে। আর এবার কোচবিহারের বক্সীরহাটে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। সূত্রের খবর, খালেক মিঞা নামে সেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে শাসক দল। যেখানে মৃত ব্যক্তির দেহের পাশে ধারালো অস্ত্র এবং পতাকা রাখা ছিল বলে খবর।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই বিজেপির এখানে প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি বনাম তৃণমূলে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে।

সাম্প্রতিক কালে বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু মাস দেরি থাকলেও দুই রাজনৈতিক দলের বিবাদ আতঙ্কিত করে তোলে জনসাধারণকে। আর এই পরিস্থিতিতে খালেক মিঞা নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু নিঃসন্দেহে এলাকার উত্তেজনাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির দিকে খুনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের পাল্টা দাবি, এর পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সকাল সকাল এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় এখন রীতিমত সরগরম হয়ে রয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতি। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস দেরি আছে। কিন্তু তার আগে থেকেই যদি এইভাবে খুনের রাজনীতি শুরু হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় কি হতে পারে, সেই ব্যাপারে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমানসে। যদি অবিলম্বে প্রশাসন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে মানুষের মনে আতঙ্ক আরও ব্যাপক পরিমাণে গ্রাস করবে।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এখন এই ধরনের ঘটনা থেকে সরে আসা উচিত বলে দাবি করছেন সকলে। কিন্তু তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, নাকি এর পেছনে রয়েছে ব্যক্তিগত কোনো কারণ, সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে গোটা ঘটনায় যেভাবে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে, তাতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!