ভোটের মুখে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে অস্ত্র কারখানা নিয়ে ক্রমশ করা হচ্ছে কমিশন নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য April 7, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নানা সময়েই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। কিন্তু এবার ভোটের মুখে নানা জায়গা থেকে অস্ত্র কারখানা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো তৎপরতা লক্ষ্য করা গেল নির্বাচন কমিশনের অন্দরে। জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশের ঘটনায় উত্তর 24 পরগণার জেলা শাসকের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। মূলত ভোটের কাজে ব্যবহার করবার জন্যই কি এই অস্ত্রগুলো আনা হয়েছে তা নিয়েই জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণপুরের দোননগর এবং ছোট গাতিতে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে 90 টি অর্ধেক প্রস্তুত পিস্তল, চার রাউন্ড কার্তুজ এবং 88 হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। আর ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেই অস্ত্র কারখানার মালিক শেখ আলি হোসেন ওরফে মুন্না সহ মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করে এদের ব্যাংকশালের চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বল বিয়ারিংয়ের কাজ করার পেছনে কিভাবে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হত তা ভেবে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেই ছোটগাতি এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি এই ঘটনায় তিনিও তেমন কিছু জানতেন না বলেও এদিন জানান ধৃত মুন্নার স্ত্রী। তবে প্রতিবেশীদের একাংশ অবশ্য বলছেন, সত্যিই এমনটা বাইরে থেকে দেখে কোনদিনও বোঝা যায়নি। তবে ঘরের ভেতর অস্ত্র থাকত, আর তার স্ত্রী কিছু জানতো না এটা সত্যিই একটা আশ্চর্যের বিষয়। এদিকে সন্দেহবশত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন সেই ধৃত মুন্নার স্ত্রীকেও নারায়নপুর থানায় ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের স্বস্তি দিতে অস্ত্র উদ্ধারে কড়া ভূমিকা নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আপনার মতামত জানান -